দলীয় নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সজলকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।
তাদের সই করা এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব খন্দকার মাসুদ রানাকে মনিরামপুর বাজারের সিরাজ ম্যানসনের সামনে ২ জুলাই দুপুরে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই ঘটনায় গত ৩ জুলাই জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদের সই করা চিঠিতে মাসুদ রানাকে শাহজাদপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এবার তাকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকেও বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান সজল বলেন, ‘আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও হাতে কোনো পত্র পাইনি। দল থেকে বহিষ্কারের আগে কিছু আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেসব না মেনে জেলা কমিটির এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রে আপিল করা হবে।’
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘সজল আগেও দলের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তখন তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। সর্বশেষ দলের আইন মেনে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেই তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’
শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন হিরু ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম চৌধুরী সাকিক এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রায় চার মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খন্দকার মাসুদ রানার সঙ্গে মাহমুদুল হাসান সজলের বাগবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা বৈঠক করে মীমাংসা করে দেন।
এর পরও ২ জুলাই দুপুরে হঠাৎ করে সজল ও তার লোকজন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মনিরামপুর বাজারে রানার ওপর হামলা চালায়। তারা কুপিয়ে রানাকে হত্যার চেষ্টা করে। লোকজন ছুটে গেলে তারা পালিয়ে যায়।’
তারা জানান, হামলার ঘটনায় রানার মা রিনা খাতুন ৫ জুলাই সজলকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ছয়-সাতজনের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন। মামলার ১০ দিন পার হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিরা আত্মগোপনে থাকায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে। তবে অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’