গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের করা একের পর এক মামলায় অসহায় হয়ে পড়েছে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পরিবার। সোমবার মামলা থেকে জামিনে এসে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা তার বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন। ছাত্রীর বাবা দাবি করেন, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে যায় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে। পরীক্ষা শেষে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার মেয়েকে তার কক্ষে ডেকে ফেল করার ভয়ভীতি দেখায়। এরপর মেয়েকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাস যোগে রাজশাহী নিয়ে যায়। সেখানে তার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে একদিন পর পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েকদিন পর প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ গাজিপুরের কালিয়াকৈর থেকে র‍্যাবের হাতে আটক হন। ওই ছাত্রীর বাবা আরো জানান, প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ জামিনে মুক্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে দুইটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং প্রতিবেশিকে দিয়ে আরো একটা মামলা দায়ের করান। প্রতিবেশি দিয়ে করানো মামলায় ১২ দিন জেলে থাকতে হয়েছে তাকে। মেয়ের ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে মামলা করে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট সহযোগিতারও দাবি জানান ওই সংবাদ সম্মেলনে। ওই সময় তার পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ ওই ছাত্রীর পরিবারে ভয়ভীতি দেখানো হয়নি দাবি করে বলেন, আমি সত্য মামলা দায়ের করেছি। তারাই আমার বিরুদ্ধে ধর্ষনের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। প্রতিবেশির মামলার বিষয়ে তিনি জানেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *