মাহবুব আলম রানা,
একজন দায়িত্বশীল সৎ পুলিশ অফিসার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে পরিচয় দানকারী এক এ্যাডভোকেটের মিথ্যে অভিযোগে সচেতন মহলে ঝড় উঠেছে। ওই পরিচয় দানকারী এ্যাডভোকেট নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চান্দাস ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া চান্দাস গ্রামের আনছার আলীর ছেলে কাওছার আলম। সম্প্রতি পরিচয় দানকারী এ্যাড:কাওছার আলমকে মারপিটের অভিযোগে মহাদেবপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক এর বিরুদ্ধে
এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পরিচয় দানকারী কাওছার আলম নিজেকে কখন এ্যাড: আবার কখনো কোর্টের মহরী পরিচয় প্রদান করে এলাকার সাধারণ লোকজনকে ভয়ভিতি প্রর্দশন করে। তথ্য সংগ্রহে কাউছার আলমের বিরুদ্ধে এমনি অভিযোগ উঠেছে।
ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মৌসুমী জানান,সৃষ্ট ঘটনার দিন বাদনী আখতার বানুর লিখিত অভিযোগে ওই ইউনিয়নের দায়িত্বরত বীটপুলিশ অফিসার আব্দুল খালেক উপস্থিত থেকে বিরোধ সংঘাতমুক্ত করেন। তিনি কারো গায়ে হাত দেননি বরং কাওছার আলম নিজেকে এ্যাড: পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। একই কথা বললেন, সিরাজুল ইসলামও।
একই গ্রামের খৈমুদ্দীনের ছেলে,শমছের আলী,নৈমুদ্দীনের ছেলে জুয়েল হোসেন,আয়েজদ্দীনের ছেলে আমিনুর রহমান,নজরুল ইসলামের স্ত্রী বেবী নাজনিন জানান,সৃষ্ট বিরোদের দিন আমরা উপস্থিত ছিলাম। আব্দুল খালেক স্যার কারো গায়ে হাত তুলেননি বরং কাওছার আলম নিজেকে এ্যাড: পরিচয়ে স্যারের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। স্যার বীটপুলিশের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এলাকা ভালো আছে। তারা আরও জানান,কাওছার আলম নিজেকে কখন এ্যাড:কখনও কোর্টের মহুরী দাবী করেন।
ওই গ্রামের নুর নবীর ছেলে সাবেক বীমা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান,আমার জানা মতে এই পাড়ায় কেউ এ্যাড: বা কোর্টের মহুরী নেই।
এ’ব্যাপারে একই ইউনিয়নের নওগাঁ বারের এ্যাড: রবিউল ইসলাম জানান,কাওছার আলম,মাঝে মাঝে আমার সেরেস্তায় আসা যাওয়া করত। তবে তিনি মহুরী পদে আবেদন করেছেন এখনও লাইসেন পান নাই।
ওই ইউনিয়নের চান্দাস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও চান্দাস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, আব্দুল খালেক একজন সৎ, নিষ্টাবান ও দায়িত্বশীল অফিসার। তিনি সততার সাথে কাজ করেন বলেন আজ তাঁর দুই ছেলে একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভূয়া খবর লিখে যে সুনাম নষ্ট করা হয়েছে ওইসব সাংবাদিকদের জন্য প্রর্কত সাংবাদিকদের মানক্ষণ হচ্ছে বলে আমি মনে করি। ভূয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ না লিখে প্রর্কৃত সংবাদ পরিবেশনসহ আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
লক্ষীপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন,ভূয়া খবরই ডেকে আনে দেশ ও জাতীর অকল্যাণ। মাদক সেবীরা যদি এ পেশায় জরিত থাকে তাহলে তাদের দ্বারা কি আশা করা যায়। ভূয়া খবর লিখে একজন্য সৎ অফিসারে বিরুদ্ধে মানক্ষণ করা যায় কিন্ত মান ফিরিয়ে দেয়া যায় না।
চান্দাস ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদান নবী রিপন জানান,
চান্দাস ইউপির বীটপুলিশ অফিসার আব্দুল খালেক একজন সৎ ও দায়িত্বশীল অফিসার। তাঁর কাজের যোগ্যতা এলাকায় বেশ সাড়া ফেলিয়েছে। তিনি আরও বলেন,মহাদেবপুর থানার ওসিসহ সকল অফিসারগণ দায়িত্বশীল বলে আমি মনে করি।

বীটপুলিশ অফিসার আব্দুল খালেক বলেন,ভূয়া এ্যাড:পরিচয় দানকারী কাওছার আলম আমার বিরুদ্ধে এসপি স্যারের নিকট যে অভিযোগ দিয়েছে তা মিথ্যে বরং ওই এ্যাড:পরিচয় দানকারী কাওছার আমল আমার উপর প্রভাব খাটায় এবং আমাকে চাকুরী হারানোর ভয় দেখায়। আমি বিষয়টি ওসি স্যারকে জানিয়েছি।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দীন মাহমুদ জানান,আমার থানার প্রতিটি অফিসারগণ সৎ ও দায়িত্বের সাথে মহাদেবপুরের জনগণের জালমাল রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। কাজ করতে গিয়ে হয়তবা ভুলভ্রান্তি হতে পারে তারজন্য মহাদেবপুরের জনগণকেই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানান তিনি।
সৎ ও দায়িত্বশীল অফিসার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে যে ভূয়া অভিযোগ ও ভূয়া খবর দিয়ে সুনাম নষ্ট করেছে তাদের ধিক্কার জানাই এলাকার সচেতন মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *