বৃহস্পতিবার(১লা জুন) দুপুর ১২ টায় রেল ভবনের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক কাওসার আল হাবিব। বক্তারা বলেন, গত ২৯ মে বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে নতুন ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয় ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’। ৩০ মে রেলপথ মন্ত্রণালয় ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নাম চূড়ান্ত করে রেলওয়ে দপ্তরকে চিঠি দেয়। তাঁরা এর প্রতিবাদ জানান। প্রস্তাবিত নাম অনুযায়ী তাঁদের জেলার নামে ওই ট্রেনের নামকরণ চান। বক্তারা বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’, লালমনিরহাট থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘লালমনি এক্সপ্রেস’, রংপুর থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘রংপুর এক্সপ্রেস’, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নামকরণ হয়েছে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। একইভাবে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনের নামকরণ ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ নামটি যৌক্তিক। একই সঙ্গে তাঁরা নতুন ট্রেনে নীলফামারী জেলাবাসীর জন্য ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দ করার দাবি জানান। এদিকে মানববন্ধন শেষে মনিরুজ্জামান রনির নেতৃত্বে রেলমন্ত্রী, রেল সচিব ও রেল মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীদের পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল।
মানববন্ধনে ঢাকায় বসবাসরত নীলফামারীবাসী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মোরছালিন বাবু, ডাবলু রায়, রেদোয়ান ইসলাম, আদনান, মীর তাহমিদ অন্ত, ফারহান সাদিক অরন্য, রিপন, শাহিন, মনোজ অধিকারী সহ শতাধিক ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ। ট্রেনটি, চিলাহাটি থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে। সপ্তাহে শনিবার বাদে ছয় দিন নিয়মিত চলাচল করবে। ঢাকা থেকে বিকেল পাঁচটায় ছেড়ে চিলাহাটি পৌঁছবে রাত পৌনে দুইটায়। ট্রেনের আসন সংখ্যা ৭৯২টি। চিলাহাটির পর বিরতি রয়েছে ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, ঈশ্বরদী বাইপাস ও বিমানবন্দর স্টেশনে।