জুয়েল আহমেদ :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস। সোমবার বিকাল ৪টায় নগর ভবনে মেয়র দপ্তরকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পরিচ্ছন্ন ও সবুজ নগরী রাজশাহীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মার্কিন রাষ্টদূত।

বৈঠক শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আমাদের সিটি কর্পোরেশনে এসেছেন, আমার সাথে বৈঠক করেছেন, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজশাহীতে যে আমেরিকান সেন্টার রয়েছে, সেটির পরিধি আরো বৃদ্ধি করা যায় কিনা সেটার সম্ভাব্যতা তারা যাচাই করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ পুলিশের যে ট্রেনিংয়ে কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে, তা প্রসংশার দাবিদার। সব মিলিয়ে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরো ভালো হবে-প্রত্যাশা করি।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগরীর ভূয়সী প্রশংসা করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আমি রাজশাহীর সপুরা সিল্ক, মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিস, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, সাইবার এন্ড সিকিউরিটি ট্রেনিং এর কার্যক্রম, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, আমেরিকান কর্ণার ইত্যাদি পরিদর্শন করেছি। রাজশাহী সত্যিকার অর্থে সুন্দর গ্রিন ও ক্লিন সিটি। মেয়র মহোদয়ের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছি।

নগর ভবনে বৈঠকের শুরুতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস‘কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হাতে সম্মননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন রাসিক মেয়র।

এরআগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নগর ভবনের প্রধান ফটকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। এরপর শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্য আর বর্ণিল আয়োজনে আয়োজনে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাসিকের কর্পোশেনের ২নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন, সচিব মোঃ মশিউর রহমান, প্রকল্পের উপদেষ্টা আশরাফুল হক, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালে নূর-ঈ সাঈদ, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *