আতাউর রহমান সোহাগ, পাকুন্দিয়া – কিশোরগঞ্জ

সরকারী কলেজে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী প্রদর্শকগণ পদোন্নতি পেয়ে প্রভাষক /সহকারী অধ্যাপক হচ্ছেন। অন্যদিকে মাস্টার্স ডিগ্রি ধারী বেসরকারি প্রদর্শকগণ জীবনভর প্রদর্শকই থেকে যাচ্ছেন অর্থাৎ নীতিমালায় কোন পদোন্নতি নেই।বেসরকারি কলেজ নীতিমালার ভাষায় যাকে বলে ব্লক পোষ্ট। একই দেশের একই শিক্ষা বিভাগে কত রকম নিয়ম। এম পিও ভুক্ত কলেজের মাস্টার্স ডিগ্রি ধারী প্রদর্শকেরা দিন কাটায় হতাশায়, অসম্মানে নিমজ্জিত হয়ে। এ ব্যাপারে সরকার তথা শিক্ষা প্রশাসনের নেই কোন কর্মতৎপরতা যেন দৃষ্টিহীন। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট রুলস অনুসারে প্রদর্শক পদটি একটি পদোন্নতি যোগ্য পদ। এ পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে প্রদর্শকরা প্রভাষক পদে পদোন্নতির যোগ্য হবেন। প্রসঙ্গত,বাঙালি জাতির মুক্তির দূত, স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে এস.টি.বি.আর ১/এম/১২/৭৫/৯৮ইং তাং-১৪/০৫/১৯৭৫ স্মারকে কলেজ পর্যায়ের দুটি পদ শরীরচর্চা শিক্ষক ও প্রদর্শক এবং সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকের পদকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদান করা হয় । দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সরকারী হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষকগণ নন গেজেটেড কর্মকর্তা হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছে কিন্তু শরীরচর্চা শিক্ষক ও প্রদর্শক অদ্যবদি কোন পদোন্নতি বা পদমর্যাদা পায়নি । জাতির জনকের এই মহতি উদ্দ্যোগ তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর, সেটি আর আলোর মুখ দেখতে পায়নি। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিধিমালায় প্রদর্শক পদের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা (সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সমমান। অথচ নির্দিষ্ট সময় পর বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত প্রদর্শক আর নবীন প্রভাষকের বেতন স্কেল একই। যা বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ও সুষম শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় বেমানান। কলেজ প্রদর্শকদের প্রভাষক পদে পদোন্নতি দিলে সরকারের কোন বাড়তি ব্যয় বাড়বেনা বরং পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রদর্শক মানুষিক প্রশান্তি ও সামাজিক মর্যদা নিয়ে কাজ করতে পারবে। ভালো একাডেমিক ফলাফল, পেশাগত প্রশিক্ষণ, শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি এবং গবেষণা মুলক উচ্চতর ডিগ্রীকে বিশ্বের কোন দেশে অসম্মান করা হয় না। উচ্চতর ডিগ্রি ধারীদের এভাবে অবমূল্যায়ণ করা চরম অপমানজনক ও হেয় পতিপন্ন করার সামিল। তাই সরকারের কাছে করজোড়ভাবে প্রাণের দাবি, নির্দিষ্ট সময় পর প্রদর্শক পদ থেকে প্রভাষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হোক ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *