২০০৫ সালে এনটিআরসিএ গঠনের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সর্বশেষ ১৭তম, এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে প্রদর্শক (উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান) পদটি ১০ম গ্রেডের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-১২শ), উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ (১১শ-১২শ) এবং স্নাতক (পাস) কলেজের (১১শ-১৫শ) জন্য। পক্ষান্তরে সহকারি শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান-পদার্থ ও রসায়ন), সহকারি শিক্ষক-জীব বিজ্ঞান পদটি ১১তম গ্রেডের নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-৮ম), মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-১০ম) এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (৬ষ্ঠ-১২শ) জন্য। তবে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে যদি কারোর বিএড ডিগ্রী থাকে অথবা যোগদানের পরে চাকুরীরত অবস্থায় কেউ বিএড ডিগ্রী অর্জন করেন তবে তিনি তখন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হবেন। যাই হোক এনটিআরসিএ প্রদর্শক পদে নিবন্ধন শুরু করে ২০০৭ সাল হতে। প্রদর্শক ও সহকারি শিক্ষক পদ দু’টিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেতে হলে পৃথকভাবে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, পৃথক সনদের মাধ্যমে লটারি নামক গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে নির্বাচিত হলে কেবল চূড়ান্ত সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ লাভ সম্ভব। কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- কেউ কেউ সহকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে প্রদর্শক পদে আবার কেউ কেউ প্রদর্শক নিবন্ধন সনদ দিয়ে সহকারি শিক্ষক পদে আবেদন করছেন। এনটিআরসিএও আবেদনগুলো সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে সুপারিশ করছে। এতে করে এনটিআরসিএ এর ভুলে চাকুরীপ্রত্যাশী সাধারণ নিবন্ধনধারীগণ প্রতিষ্ঠানে যোগদানসহ এমপি প্রাপ্তিতে নানাভাবে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কথা হয় দু’জন চাকুরিপ্রত্যাশী ১০ম নিবন্ধনধারীর সাথে। একজন রঞ্জিত চৌধুরী, সহকারি শিক্ষক-রসায়ন, রোল নম্বর: ৩২০০৫১১৩। তিনি প্রদর্শক হিসেবে আবেদন করে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন চান্দিনা মহিলা ডিগ্রী কলেজ, কুমিল্লা। অপরজন রাজিউর রহমান, সহকারি শিক্ষক- পদার্থবিজ্ঞান, রোল নম্বর: ৩১৯১৯১৩৬। তিনিও প্রদর্শক হিসেবে আবেদন করে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন সৈয়দপুর মহিলা মহাবিদ্যালয়, নীলফামারী। ঘটনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, প্রকৃত প্রদর্শক সনদধারীগণ এনটিআরসিএ’র অদক্ষতা ও উদাসীনতার কারণে নিয়োগ সুপারিশ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় এটা শিক্ষানীতিমালা ও এমপিও নীতিমালার পরিপন্থীও বটে। এমতাবস্থায় এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে প্রদর্শক ও সহকারি শিক্ষকগণের মেধাতালিকা আলাদা করাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি এবং অতীব জরুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *