প্রিয় বাবা
সাইদুর রহমান নোবেল
‘আজ আমি কত দূরন্ত ,ছুটন্ত উড়ন্ত বেগময়।কত বন্ধু মহল আড্ডা বাজির কত গ্রহ , উপ গ্রহ নক্ষত্র আমার । আমি যদি এমন দুরন্ত ছুটন্ত বেগবান হই,‘আমি-তো আমারবাবারই সৃষ্টি ! আমার বাবা বন্ধু কই?’
-প্রশ্ন রয়?

‘নাকি এক সময় বাবারা একে অন্যের থেকে বন্ধু পরিচয় তুলে পেলে পালিয়ে বেড়ায়।দায় বদ্ধ সামাজের বেড়াজালে।’
-প্রশ্ন রয়?

‘নাকি কোন দিন ,কোন কালে কোন বাবার বন্ধু ছিলো না ,।‘নাকি বাবারা প্রথম থেকেই ছিলো কোন এক গুহা মানব এর ন্যায় একাকী নিঃসঙ্গ ?’
-প্রশ্ন রয়?

‘যদি তাদের বন্ধু থেকেই থাকে কোথাই হারালো তারা?এবং কেন হারালো।’
-প্রশ্ন রয় ?

‘নাকি বাবাদের বন্ধু থাকে না । একটা সময় কি তারা দরিয়ার শুটকি মাছের মত কোন মতে পোঁছে যায় অথবা পোঁছে গিয়ে জীবন জাপন করে ?’
-প্রশ্ন রয় ?

‘যে খানে আড্ডা বাজি হতো।বন্ধুদের বিপদ আপদে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা প্রচেষ্টা থাকতো। কারো হাতে চা,কফি, সিগারেটের ভাগাবাগি তুমুল রেশা রেশি নাহলে ও শেয়ারিং গল্প হতো ।
‘আজ কেন আমার বাবা পরিবারের হিসাব চুকাবার তরে আর কোন হিসাব বাবার জন্য অপেক্ষা করেনা।
এতে কি প্রমান হয় বাবার জীবনে বন্ধু নামের কোন অপেক্ষার হিসাব ছিলো না!
‘হু!অবশ্যই ছিলো৷তবে সমুদ্রের কিনারায় লিখা নামের মত , সে হিসাব মুছে দিয়েছে বাবারা বার বার — আমি আমাদের শত আবদারের অযুহাতে।কুরবানি করেছে তার সে আড্ডাবাজি আড্ডাবাজ বন্ধু মহলের নাম।’
‘ আমি আমার বাবাকে প্রচন্ড ভালোবাসি।যে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা আমার চোখে জল এনে দেয়।রাস্তায় কোন বৃদ্ধ দেখলে চোখের সামনে ভেসে উঠে আমার সে প্রিয় বাবার মুখ।’

উ ৎ স র্গ — বাবা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *