বাপসনিউজ-বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতবাসের বর্তমান রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। তিনি সাবেক রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার সর্বশেষ ফ্রান্স সফরের কিছু দিন আগে। একই সাথে দূতাবাসে প্রথম সচিব, দূতালয় প্রধানসহ একাধিক পদে নতুন কর্মকর্তা যোগ দিয়েছেন।
ফ্রান্সে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার। এই বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীর প্রায় অনেকেই দূতাবাসে নানা কাজে সেবা গ্রহণ করতে যান। বিশেষ করে ফ্রান্স দূতাবাসে পাসপোর্ট সমস্যায় আটকে আছে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী। বৈধতা না পাওয়ার আশংকায় দিন কাটছে তাদের। খবর বাপসনিউজ।
এদিকে নতুন কর্মকর্তারা দূতাবাসে যোগ দিয়েই কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ করার নাম করে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে পাশ কাটিয়ে তথাকথি মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ডুলি রাজাকার পুত্র জামাত এজেন্ট আবু তাহির গংদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন এমহলটি । এ নিয়ে ফ্রান্স কমিউনিটিতে গুঞ্জন উঠেছে ঐক্য করার নাম করে ইউরোপে জামাত বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করতে দূতাবাসের দূতালয় প্রধান দ্বিতীয় সচিব ওয়ালিদ বিন কাশেম মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
নাম না প্রকাশে বাপসনিউজকে দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তারা আমন্ত্রিত হলেও লোক চক্ষুর অন্তরালে দূতাবাসে তাদের অনায়েশ যাতায়াত। কমিউনিটিতে প্রশ্ন উঠেছে সাবেক রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম এবং কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের মেয়াদকালে যারা দূতাবাসে নিষিদ্ধ ছিলো তারাই এখন দূতাবাসের নিয়মিত মূখ। যার পেছনে মূল ভূমিকা রাখছেন দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম।
এ বিষয়ে বর্তমান রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা’র এক ঘনিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন খন্দকার এম তালহা একজন বিজ্ঞ কুটনৈতিক তিনি হয়তো এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না, তাকে পেছন থেকে পরিচালনা করছেন দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম। ওয়ালিদ বিন কাসিম সম্পর্কে তিনি বলেন, সে অকালপক্ক একজন মানুষ , দূতাবাসে যোগ দেয়ার সাথে সাথে সাবেক পলিটিক্যাল সচিব মাহবুব, কমার্স কাউন্সিলর দিলারা, সাবেক দূতালয় প্রধান দয়াময়ী চক্রবর্তীর সাথে দুরত্ব তৈরী করেন।
এবিষয়ে ফ্রান্স আওয়ামী লীগ এবং ইউরোপ আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ওয়ালিদকে দ্রুত অপসারন না করলে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারন হতে পারে । তাই এই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণলয় ব্যবস্থা নিবেন বলে বিশ্বাস করেন আওয়ামী লীগ এবং কমিউনিটির নেতৃবৃনদ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *