ফাঁদে ফেলে অপহরণ পূর্বক চাঁদা আদায়কারী চক্রের মূলহোতা সহ
০৪ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার।

বাদী মোঃ মনিরুল ইসলাম (ছদ্মনাম) অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানায় হাজির হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, এজাহারনামীয় আসামীগন একই উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজস করে তাহাকে অপহরন পূর্বক আটক রাখিয়া বিভিন্ন ভয়ভীতি, ক্ষতি ও মৃত্যুর ভীতিপ্রদর্শন, হুমকি সহ বলপূর্বক গ্রহন করিয়া গত ইং ১৬/০৩/২০২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১.০০/১১.৩০ ঘটিকার হইতে ০৫/০৬/২০২২ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে নগদ ও বিকাশে সর্বমোট ২১,০০,০০০/- (একুশ লক্ষ) টাকা চাঁদা গ্রহন করে।

এ সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানায় মামলা রুজু হইলে তাৎক্ষণিক বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম সেবা মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব আলী হায়দার চৌধুরী বিপিএম এর তত্ত্বাবধানে ডিবি বগুড়া’র ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওলিউল্লাহ, এর নেতৃত্বে ডিবি বগুড়া’র একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২৯/০৬/২০২২ খ্রিঃ রাত্রী অনুমান ০৩.০০ ঘটিকা হইতে বিভিন্ন সময়ে বগুড়া জেলার সদর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফাঁদে ফেলে অপহরণ পূর্বক চাঁদা আদায়কারী চক্রের মূলহোতা সহ ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় ০৪(চার) জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানাঃ

১। মোঃ নাছির উদ্দিন (৩৬), পিতা মো: সোহরাফ আলী, মাতা মোছা: মেহেরুননেছা, সাং সংসারদিঘি, থানা শিবগঞ্জ, জেলা বগুড়া।

২। মোসাঃ রুনা আক্তার (৪২), স্বামী মৃত আলমগীর হোসেন ওরফে আলম, মৃত আ: মালেক, মাতা মোছা: রাজিয়া বেগম, সাং নিশ্চিন্তপুর, থানা শিবগঞ্জ, জেলা বগুড়া, বর্তমান ঠিকান: ফুলতলা বাজার, নাছিমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, তিনতলা বিল্ডিংয়ের তিনতলায় ভাড়া থাকে, থানা শাজাহানপুর, জেলা বগুড়া।

৩। মোছাঃ আমেনা খাতুন ওরফে রেশমী (৪০), স্বামী মো: ফরহাদ শেখ, মাতা মোছা: জমেলা, সাং পূর্ব পালশা(পুরান বগুড়া), থানা ও জেলা বগুড়া।

৪। মোসাঃ সেলিনা আক্তার ঝিনুক ওরফে ঝিনুক মালা (৩৭), পিতা মৃত তবিবর রহমান, (স্বামী আ: লতিফ), মাতা মৃত বেলী বেগম, সাং মহিষাবান সাতঘড়িয়াপাড়া, থানা গাবতলী, জেলা বগুড়া, বর্তমান ঠিকানা কলোনী টনাপাড়া, আফতাব হোসেনের বাসার ভাড়াটিয়া।

উদ্ধারকৃত আলমতের বর্ণনাঃ

১। নগদ ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা। (যাহা বাদীর নিকট হইতে চাঁদা বাবদ গ্রহন করিয়াছিল।
২। ০২(দুই)টি মোবাইল ফোন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীগন জানায় যে, তাহারা দীর্ঘদিন যাবত যোগসাজসে সমাজের বিভিন্ন সম্মানি ব্যাক্তিদের টার্গেট করে তাদের সাথে বিভিন্ন বাহানায় সখ্যতা গড়ে তুলতো। অতঃপর কৌশলে বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাতে ভূক্তভোগিদের আসামীদের ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে নিজেরা নগ্ন/অর্ধনগ্ন হয়ে জোড়পূর্বক ভূক্তভোগিদের সাথে ছবি ও ভিডিও করে রাখতো। পরবর্তীতে উক্ত ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভিতী দেখিয়ে ভূক্তভোগিদের নিকট হতে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অংকের চাঁদা দাবি/গ্রহন করিয়া আসিতেছিল।

উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামীগণ অপহরন, চাঁদাবাজ ও মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ নাছির উদ্দিন ফোঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন এবং ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত ২নং আসামী মোসাঃ রুনা আক্তার (৪২) এর বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা রহিয়াছে।

সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে টিম ডিবি বগুড়ার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *