বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি ঃঃ
বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা-কচুবনিয়া দখলীয় জায়গা শশ্মান কমিটির কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে । উক্ত বিক্রির জায়গায় কচুবনিয়া গ্ৰামের জনৈক গৌর রায় ঘর নির্মাণের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে । এদিকে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা অফিসার ইনচার্জ সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিকট গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ১৪ জুন থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘর নির্মাণ সাময়িক ভাবে বন্ধ হলেও ষড়যন্ত্রকারীরা পুঃনরায় ঘর নির্মানের নানা ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । উল্লেখ্য জলমা-কচুবুনিয়া মহা শশ্মানে যুগ যুগ ধরে জলমা, কচুবনিয়া,দাউনিয়াফাঁদ, চক্রাখালী ও গজালমারী এলাকার মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের শবদাহ দাফনের পাশাপাশি কালি পূজা,রাসস্নান উৎসব সহ বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছে । ইতিপূর্বেও উক্ত গৌর রায় শশ্মানের জায়গায় ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে ছিল । কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চঞ্চলা মন্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য বিপ্রদাস টিকাদার কার্তিক , সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যা তপতী রাণী বিশ্বাস সহ এলাকাবাসীর প্রতিবাদে তা বন্ধ হয়ে যায় । বর্তমানে উক্ত গৌর রায় শশ্মান কমিটির কিছু নেতাদের অর্থের মাধ্যমে ম্যানেজ করে উক্ত শশ্মানের জায়গায় আবারো ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে । যে কোন মুহুর্তে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে । এব্যাপারে শশ্মানের জায়গায়জোর পূর্বক ঘর নির্মাণকারী গৌর রায়কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, শশ্মান কমিটির সভাপতি, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায় আমাকে ঘর নির্মাণ করতে বলেছে । এব্যাপারে শশ্মান কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেশ মল্লিক বলেন, শশ্মান এরিয়ার ভিতরে ব্যক্তিগত ভাবে কারো শশ্মানের জায়গায় ঘর নির্মাণের সুযোগ নেই । এব্যাপারে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলার সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ মল্লিক মুঠোফোনে বলেন,যারা শশ্মানের দখলীয় জায়গা অর্থের বিনিময়ে বে-দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু । এদের বিরুদ্ধে সকলে মিলে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে । এব্যাপারে শশ্মান কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায় মুঠোফোনে বলেন, কোন ব্যক্তি তার নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে আমার নাম ব্যবহার করছে বলে আমি শুনেছি । তবে শশ্মান সম্পূর্ণ একটি ধর্মীয় এবং সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান । যা সকলের মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ভাবে চলে । এখানে সার্বজনীন শশ্মানে ব্যক্তিগত ভাবে কারো ঘর নির্মাণের কোন সুযোগ নেই । তবে শশ্মানে বর্তমানে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে । উক্ত কমিটির সকল সদস্য ও এলাকাবাসীদের নিয়ে স্থানীয় ভাবে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে । এব্যাপারে হিন্দু মহাজোট উপজেলা শাখার সভাপতি ইন্দ্রজিৎ টিকাদার বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা কমিটি থাকে । উক্ত প্রতিষ্ঠানের জমি থেকে শুরু করে উন্নয়ন সব কিছুর দ্বায়- দায়িত্ব ওই কমিটির উপর বর্তায় । তবে এলাকায় বসে সমস্যার সমাধান করা উচিৎ । বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার চেয়ে ধর্মীয় সকল সংগঠন নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *