রাকিবুল হাসান রাফি।।  নাটোরে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়েছে। করোনা মহামারির পর এবার খ্রিষ্টধর্মানুসারীরা যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন।

আজ রোববার সকালে নাটোরের বনপাড়া ধর্মপল্লীর ক্যাথলিক মিশনারী চার্চে প্রার্থনা সংঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে বড় দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে শনিবার রাতে বনপাড়া ধর্মপল্লীর ক্যাথলিক মিশনারী চার্চে লুর্দের রানী মারীয়া ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা উৎসর্গ করা হয়। রোববার সকাল ৭ টা ও ৯টায় পৃথক দুটি খ্রিস্টযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

বড়দিন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন গীর্জা ও মিশনে উৎসব ও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। আল্পনা করা হয়েছে ধর্মপল্লীর সড়কগুলো। আল্পনা করা হয়েছে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন বাড়ির দেয়াল ও আঙ্গিনা। বিভিন্ন বাড়িতে ছোট বড় আকারের তারা তৈরি করে তাতে আলো দিয়ে যীশুখ্রিস্টের আগমনকে তুলে ধরা হয়েছে। সাজানো হয়েছে প্রতিকৃতি গোশালা, যেখানে যীশুখ্রিস্ট জন্ম লাভ করেছিলেন। গির্জা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কীর্তন প্রতিযোগিতা। বাড়ি বাড়ি চলছে পিঠা উৎসব সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিশু সহ খ্রিষ্টধর্মানুসারীরা বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে সকলকে। বনপাড়া ধর্মপল্লীর প্রধান পাল পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন বড়দিন একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিনত হয়েছে। মানব প্রেমে উদ্বুদ্ধ সকল মানুষ একাত্ব হয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। খ্রিষ্টধর্মানুসারীরাও সেই আনন্দে শরিক হয়।

খ্রিষ্ট-ধর্মালম্বিদের  বাড়ি চলেছে পিঠা উৎসব সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক বড়দিন উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মপল্লী ও গির্জা পরিদর্শন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *