রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় কুতুবপুর ইউনিয়নের নাটারাম এলাকার রোস্তমাবদ এলাকায় গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে নদীতে নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ৩. ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,১মোঃ এনামুল হক (৪৫), পিতা- মৃত নাড়িয়া সোবহান, ২। মোঃ আখের আলী (৪৮), পিতা-মৃত মফিজল, ৩। মোঃ রেয়াজুল হক (৪০), পিতা- মৃত হাকিমুদ্দিন, ৪। মোঃ রেজওয়ান (২২), পিতা- মোঃ আখের আলী, ৫। মোঃ সুরুজ (২৫), পিতা- মোঃ এনামুল হক, ৬। মোঃ মমদেল হোসেন (৫৫), পিতা- মৃত রহমান, ৭। মোঃ সাদেক আলী (৫৮), পিতা- মৃত সোবহান, ৮। মোঃ আজাদ আলী (৫৫), পিতা- মৃত অনঙ্গ খটু, ৯। মোছাঃ জাহানারা বেগম (৪৫), স্বামী- মোঃ আজাদ আলী, ১০। মোছাঃ মানিজা বেগম (৪০), স্বামী- মোঃ বাদশা, ১১। মোছাঃ ছাদেকা বেগম (৪০), স্বামী- মোঃ এনামুল হক, সকলের সাং-রোস্তমাবাদ মধ্যপাড়া, ১২নং কুতুবপুর ইউনিয়ন, ১২। মোঃ সুজন (৩৫),পিতা- মৃত গোলজার কুড়িয়া, সাং-গোপালপুর হাট সংলগ্ন, সকলের থানা- বদরগঞ্জ, জেলা- রংপুর

অজ্ঞাত নামা ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, বিবাদীদের সহিত জমি জমা লইয়া পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে।

সেই কারণে বিবাদীরা আমার সহ আমার পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়া আসিতেছে।

এমতাবস্থায় অদ্য ১৯/০১/২০২৩ ব তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৩.৩০ মিনিটের সময় আমরা পুরুষ মানুষ সকলে থানায় শালিস থাকায় আম থানায় আসায় বিবাদীরা সকলেই পরস্পর যোগ সাজস করিয়া হাতে লাঠি, ছোৱা, দা, কুড়াল, শাবল নি আমার বড় ভাই মোঃ ইয়াছিন আলীর বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া ২নং বিবাদী অন্যা বিষাণীদেরকে হুকুম দিয়া বলে যে, শালাদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করিয়া সব মালামাল লুটপাট করিয়া নিয়া যা কেউ বাধা দিতে আসলে তাকে মারপিট করিয়া জানে শেষ করিয়া দাও,

কত লক্ষ টাকা খরচ করতে আমি করব। এই হুকুম পাওয়া মাত্র সকল বিবাদীরা আমার বড় ভাই ইয়াছিন আলীর টিনের বেড়া টা দক্ষিণ দুয়ারী ঘর ভাংচুর করিয়া ঘরে টেবিলের ড্রয়ারে থাকা গরু বিক্রির ৪০,০০০/- টাকা, বি আসবাবপত্র যার মুল্য আনুমানিক ৫০,০০০/- টাকা, একটি পুরাতন হিরো বাইসাইকেল, যার আনুমানিক ৪,০০০/- টাকা সহ আরো অনেকে মালামাল লুটপাট করিয়া তাদের খাড়ীতে লইয়া যায়। ঐ সময় আমার ভাই ইয়াছিন আলীর স্ত্রী মোছাঃ আপিলা খাতুন বিবাদীদেরকে বাড়ী ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট ক লইয়া যাইতে বাধা দিলে বিবাদীরা বড় ভাই এর স্ত্রী ভাবি আপিলাকে লাঠি ও হাত দিয়া এলোপাতারী শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করিয়া ফোলা জখম করে।

১নং বিবাদী ভাবি আপিলার চুলের মুটি পড়নের কাপড় চোপড় টানিয়া ছিড়িয়া ফেলিয়া বিবস্ত্র করতঃ শ্লীলতাহানী ঘটায়। ৯ ও ১০ নং বিবাদী অ ভাবী আপিলার দুই কানে থাকা ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের দুল মুল্য অনুমান ২৫,০০০/- টাকা জোর খুলিয়া নেয়।

ভাবিকে রক্ষার জন্য আমার বড় ভাই আবু বক্কর আগাইয়া গেলে বিবাদীরা এলোপাতারীভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করিয়া ফোলা জখম করে। ৪নং বিবাদী বড় ভা বক্করকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোরা দিয়া মাথায় চোট মারিলে ছোটটি তার বাম হাত দিয়া ঠেকানোর ফ হাতের বৃদ্ধা আংগুল কাটিয়া গিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ইহার পর ১২নং বিবাদী সুজন আমার ইয়াছিন আলীর উত্তর দুয়ারী টিনের বেড়া খড়ের তৈরী শয়ন ঘরে খড়ের মধ্যে গ্যাস লাইট দিয় লাগাইয়া দেয়। দাউ দাউ করিয়া আগুন জ্বলিতে থাকিলে বড় ভাই ইয়াছিন আলী সংবাদ পাইয়া দ্রুত গিয়া নিবাসীদের অন্যায় কাজে বাধা দিলে বিবাদীরা বড় ভাই ইয়াছিন আলীকে মাথায় সহ শরীরে স্থানে মারপিট করিয়া ফোলা জখম করে।

ঐ সময় আমার ভাবী আপিলা বেগম আগাইলে ২নং বি আশিমাকে ঘাড়ে তুলিয়া পার্শ্বে নদীর পানির মধ্যে ফেলাইয়া দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে পানিতে ঠা শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। ঐ সময় সাক্ষীগণসহ আশেপাশের অনেক লোকজন আগাইয়া আসি বিষাদীদের কবল হইতে উদ্ধার করেন এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইলে বড় আলীর উক্ত ঘর পুড়িয়া যায়।

ইহাতে তার আনুমানিক ৪০,০০০/- টাকা পরিমাণ ক্ষতি সাধন বিষয়ে সাক্ষী ১। মোঃ আনারুল হক, পিতা-মৃত আক্কাস আলী, ২। মোঃ আবু বকর, পিতা- অজিত, ৩। মোঃ সবুজ, পিতা- মৃত জয়নাল হোসেন, ৪। মোঃ তাহুর, পিতা- মৃত কিনা মত ইয়াকুব আলী, পিতা- মৃত রশিদ, সকলের সাং-রোডমাবাদ মধ্যপাড়া, ১২নং কুতুবপুর ইউ বদরগঞ্জ, জেলা-রংপুরগণসহ আরো অনেকে ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন।

আমার বড় ভাই এ জখম হওয়ায় বদরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় এবং অন্যান্য জখমীরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়।

হুকুম দেওয়ার বিষয়ে ২ নং আসামী আখের আলী বলেন, দিতেই পারে, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলি নাই আমি গ্রামবাসী হিসেবে মিটমাটের জন্য গেছি।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন ‘অভিযোগের সত্যতা পেলে তদন্ত করে ব্যবস্হা মামলা নেওয়া হবে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *