বুলবুল আহমেদ ( বুলু)
বদলগাছী নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

বদলগাছী উপজেলা তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের। বদলগাছী শহরের বাসস্ট্যান্ড, চৌরাস্তা, সদর রোড, স্কুল রোড, কাঁচাবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এক কুড়ি আস্ত তাল ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। মৌসুম এ ফল কেউ কিনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন, কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

বদলগাছী হাটবারের বাজারে স্কুল মাটে এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি করছেন শ্রী স্বপন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস করা মানুষগুলো ভিড় করছে তাঁর দোকানে। আর হাশেম আলম ধারালো দা দিয়ে তালের শাঁস বের করে তাঁদের চাহিদা মেটাচ্ছে।

তালের শাঁস বিক্রেতা হাশেম আলম জানান, প্রতিদিন তিনি ৩ থেকে ৪ শ তাল কেটে বিক্রি করেন। প্রতিটি তালের ভেতর দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে এবং প্রতিটি তাল গড়ে ১০ টাকায় বিক্রি হয়। গ্রামে গ্রামে ঘুরে এসব কচি তাল কিনে আনেন। তালের সংখ্যাভেদে একটি গাছের দাম পড়ে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা। গরম পড়লে তালের শাঁস অনেক বেশি বিক্রি হয়। প্রতি বছর তিনি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করেন।

কচি তাল কিনতে শরিফুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরমের কারণে বাজারে কচি তালের চাহিদা অনেক বেশি। যেহেতু কচি ডাবের দাম অনেক বেশি তাই সাধারণ মানুষ কচি তালের শাঁসের দিকে বেশি ঝুঁকছে। তবে চাহিদা বেশি থাকার কারণে কচি তালও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

তালের শাঁসের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃকর্মকর্তা ডাঃ কানিজ ফারহানা বলেন, কচি তালের বেশির ভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় শরীরে পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম। গরমে শরীর থেকে দ্রুত পানি বের হয়ে গেলে তা পূরণ করার পাশাপাশি তালের শাঁস শরীরকে দ্রুত শীতল করে। তা ছাড়া তালের শাঁস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *