বাকেরগঞ্জে দায়িত্বে অবহেলায় কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে অব্যাহতি মোঃ বশির আহাম্মেদ বাকেরগঞ্জ সংবাদদাতা বরিশালের বাকেরগঞ্জে দায়িত্বে অবেহেলার জন্য কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান খান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সুত্রে জানা গেছে, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বাকেরগঞ্জ জেএসইউ মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রের বর্ধিত ভবনের ২নং রুমে হিমি নামের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। মঙ্গলবার রসায়ন পরীক্ষার দিন হিমির পিছনের একটি সিটে বসে কলেজ পড়ুয়া বোরকা পরিহিত একটি মেয়ে তার খাতায় উত্তর লিখে দেয়। এমনকি পরীক্ষার্থী হিমির মা উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম মিনু পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কন্যার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই কক্ষে প্রবেশের পূর্বেই কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার কলেজ পড়ুয়া মেয়েটিকে রুম থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। পরীক্ষার হলের সিট প্লানেও এর সত্যটা মিলেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছু একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি পরীক্ষা শুরু থেকেই হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর খাতায় উত্তর লিখে সেটাই জমা দিয়ে আসছে। কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ ঘটনা চলছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটপ্লান স্যারেরা করেছে। অভিযুক্ত হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর পিছনের সিটটি ফাঁকা কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্রশীলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি পরীক্ষার হলে গিয়ে ড্যামি নামের ওই পরীক্ষার্থীকে পাননি। একজন পরীক্ষার্থীর পেছনে যদি অন্যকেউ বসে তার খাতায় লিখে দেয় তার ব্যর্থতার দায় কেন্দ্র সচিবের। তিনি অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। নতুন হল সচিব হয়েছেন দুধাল-মৌ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার হয়েছে বাকেরগঞ্জ জে এস ইউ মডেল স্কুলের সহকারী শিক্ষক শওকত হোসেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।

 

মোঃ বশির আহাম্মেদ
বাকেরগঞ্জ সংবাদদাতা

বরিশালের বাকেরগঞ্জে দায়িত্বে অবেহেলার জন্য কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান খান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

সুত্রে জানা গেছে, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বাকেরগঞ্জ জেএসইউ মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রের বর্ধিত ভবনের ২নং রুমে হিমি নামের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। মঙ্গলবার রসায়ন পরীক্ষার দিন হিমির পিছনের একটি সিটে বসে কলেজ পড়ুয়া বোরকা পরিহিত একটি মেয়ে তার খাতায় উত্তর লিখে দেয়। এমনকি পরীক্ষার্থী হিমির মা উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম মিনু পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কন্যার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।

স্থানীয় সাংবাদিকরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই কক্ষে প্রবেশের পূর্বেই কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার কলেজ পড়ুয়া মেয়েটিকে রুম থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

পরীক্ষার হলের সিট প্লানেও এর সত্যটা মিলেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছু একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি পরীক্ষা শুরু থেকেই হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর খাতায় উত্তর লিখে সেটাই জমা দিয়ে আসছে। কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ ঘটনা চলছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।

কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটপ্লান স্যারেরা করেছে। অভিযুক্ত হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর পিছনের সিটটি ফাঁকা কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

সাংবাদিকরা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্রশীলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি পরীক্ষার হলে গিয়ে ড্যামি নামের ওই পরীক্ষার্থীকে পাননি। একজন পরীক্ষার্থীর পেছনে যদি অন্যকেউ বসে তার খাতায় লিখে দেয় তার ব্যর্থতার দায় কেন্দ্র সচিবের। তিনি অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। নতুন হল সচিব হয়েছেন দুধাল-মৌ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার হয়েছে বাকেরগঞ্জ জে এস ইউ মডেল স্কুলের সহকারী শিক্ষক শওকত হোসেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *