বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া ঘাসমারা কীটনাশকে দুই কৃষকের পান বরজ নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পান বরজের মালিক এমরান আলী সরদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা হিসেবে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, এমরান আলী সরদার এবং আব্দুল কুদ্দুস সরদার মিলে প্রায় ৫০ কাটা জমিতে পান বরজ তৈরি করে অনেক বছর থেকে পান চাষ করে আসছেন। সম্প্রতি সেই পান বরজ বেঁধে দেয়া হয়েছে। কেবলই নতুন পান ছাড়তে শুরু করেছে। সেই পান বরজে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা শত্রুতাবসে ঘাস মারা কীটনাশক স্প্রে করে পানবরজ নষ্ট করে ফেলে। কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ৪টি পান বরজের পান সহ পড় পুড়ে মরে গেছে । এতে করে ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে দুইজন পানচাষীর। অনেক অর্থ আর পরিশ্রমের সম্বলটুকু কীটনাশক স্প্রে করে নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

কনোপাড়া গ্রামের ওই পান বরজের মালিক এমরান আলী সরদার জানান, বাড়ি থেকে পান বরজের দূরত্ব খুবই কম। ভালো পানবরজ হওয়ায় অনেক সময় সেখানেই কাটে। প্রতি দিনের ন্যায় মঙ্গলবারও পানবরজ থেকে বিকেলে বাড়িতে চলে আসি। রাতের কোন এক সময় পূর্বপরিকল্পনা করে দুর্বৃত্তরা আমাদের দুই ভাইয়ের পান বরজে কীটনাশক স্প্রে করেছে। সকালে লোকজন বিষয়টা দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পান বরজে গিয়ে দেখি সমস্ত পানবরজের পান পুড়ে মরে যাচ্ছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে পানবরজ তৈরি করা হয়েছে। একটা সন্তানের চেয়ে পান বরজে বেশি নজর রাখতে হয়। এই ক্ষতি পুঁষিয়ে নেয়ার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।
এদিকে স্থানীয় কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, আমি সকালে ওই পান বরজের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন দেখতে পাই এতো ভালো পানবরজের পান পুড়ে মরে যাচ্ছে কেন। পরে এমরানের বাড়িতে খবর দিই। অন্যদিকে দুলাল নামের আরেক কৃষক বলেন, পান বরজে ঘাস মারা কীটনাশন স্প্রে করে পানবরজ নষ্ট করা ঠিক হয়নি। এই কাজ যারায় সংঘটিত করুক সেটা অন্যায় হয়েছে। একটা পানবরজ করতে অনেক খরচ। এটা যারাই করুক তাদের বিচার হওয়া দরকার।
এ ব্যপারে বাগমারা থানার ওসি (তদন্ত) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *