মোঃ আব্দুস সবুর(বালিয়াডাঙ্গী) ঠাকুরগাঁওঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার আব্দুস সোবহান হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেনীর অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারীর কাছ থেকে সন্মানী ভাতা ও জিপিএফ এর টাকা তুলে দেওয়ার জন্য এযাবত ১৮ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং পেনশনের টাকা তুলে দেওয়ার জন্য আরো ৭ হাজার ৫ শত টাকা দাবি করেছেন এমনটাই অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত শেফালী আকতার নামে চতুর্থ শ্রেনীর এক কর্মচারী।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি অবসরে যাওয়ার পর থেকে তার কাছে জিপিএফ ও সন্মানী ভাতা এবং পেনশনের টাকা তুলে দেওয়ার জন্য অনেক দিন ঘুরেছি তিনি আমাকে পাত্তাই দেয়নি এবং বলে টাকা ছাড়া কোন কাজ হবেনা। আমি বুহু কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছি। টাকা তুলে দেওয়ার জন্য তিনি আমার কাছে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করে। এযাবত কালে তিনি আমার সন্মানী ভাতা তুলে দেওয়ার জন্য ৭ হাজার টাকা,জিপিএফ এর টাকা তুলে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা,পেনশনের ফাইল ঠিক করার জন্য ১ হাজার টাকা সহ মোট ১৮ হাজার টাকা নিয়েছে। সেদিন পেনশনের ফাইল ঠিক করার জন্য তিনি আমার কাছে ১ হাজার টাকা চাইলে আমি তাকে ৯ শত টাকা দিলে তিনি আমার মুখের উপর টাকা গুলো ছুড়ে ফেলে দেয় এবং বলে এক হাজার টাকায় লাগবে কোন কম হবে না। পরে আমি একজনের কাছ থেকে ১ শত টাকা ধার করে এনে তারপর সে টাকা গুলো নেয়। এখন আবার পেনশনের টাকা তুলে দেওয়ার জন্য আবার আমার কাছে ৭ হাজার ৫ শত টাকা চায় টাকা না দিলে কোন কাজ হবেনা আমাকে জানিয়ে দেয়,তিনি বলেন আগে টাকা নিয়ে আস তারপর ফাইল জমা দিব তা আগে না।
হাসপাতালে ওই কর্মচারী সাংবাদিকদের কাঁদতে কাঁদতে বলেন, পেনশনের টাকাটাই আমার শেষ সম্বল,আমার পাঁচজন মেয়ে কোন ছেলে নেই আমার স্বামী বিভিন্ন দিন ধরে বিছানায় পড়ে আছে তারও ওষুধ কেনার টাকা নাই, আমি তিনবার অপারেশন করেছি প্রতিদিন আমার দুই তিন শত টাকার ওষুধ কিনতে হয় এখন আমি খুবই অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছি পেনশনটাই আমার শেষ সম্বল আর তিনি বলছেন টাকা ছাড়া কোন কাজ হবেনা আমি এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা।আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই যাতে দূত আমি টাকাটা পাই।

টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের ক্যাশিয়ার আব্দুস সোবহান অস্বীকার করে বলেন আমি তার কাছে কোন টাকা চাইনি শুধু রংপুরে যাওয়ার যাতায়াত বাবদ টাকা চেয়েছিলাম অন্য কোন বিষয়ে না।

পেনশনের টাকা পাইয়ে দিতে ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকতা এ. এস.এম আলমাস হোসাইন বলেন, এবিষয়ে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে শেফালী ও আমাদের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছ থেকে শুনেছি এবং আমি সিভিলসার্জন স্যারের সাথে কথা বলেছি আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেব তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *