বিশেষ প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলা।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়া পালংয়ের ধোয়াপালং রাবেতা এলাকায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাড়ি চালক আব্দুল আমিনকে দিন দুপুরে কুপিয়ে নির্মমভাবে খুনের আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি একজনও।
হত্যা মামলার বাদী কামাল হোসেনকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
গত ৯ আগস্ট দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বসত বাড়ির সীমানা বিরোধের জের ধরে ড্রাইভার আবদুল আমিনকে ব্যাপক মারধর ও কুপাঘাত করে প্রতিপক্ষরা। রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুল আমিনকে তাৎক্ষণিক কক্সবাজার সদর হসপিটালে নিয়ে আসা হলে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করেদেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান নিহত আব্দুল আমিন।
ঘটনার পরের দিন (১০ আগস্ট) সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই কামাল হোসেন। যার থানার মামলা নং-১৭/৪৩৮।
আসামিরা হলেন, খুনিয়া পালং ৬ নং ওয়ার্ডের ধোয়া পালং রাবেতা পাড়ার আব্দুল বারির ছেলে নুরুল হক (২৫), আব্দুছ সবুরের ছেলে শাহজাহান (৩৯), আব্দুল জব্বারের ছেলে আমির হামজা ড্রাইভার (৩৮) ও সুলতান আহাম্মদের ছেলে আব্দুল বারী (৫৫)। অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরও তিনজন।
নিহত আবদুল আমিন একই এলাকার মৃত ইবনে আমিনের ছেলে। পেশাগত সে পিকআপ গাড়ী চালক এবং ৫ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক। একমাত্র উপার্জনকারী আবদুল আমিনকে হত্যার পর পরিবারে চরম অসহায়ত্ব দেখা দিয়েছে। অভাব-অনটনের দিন কাটছে বলে জানান স্ত্রী নুর ফাতেমা বেগম।
মামলার বাদী কামাল হোসেন জানান, এক সপ্তাহ পার হলেও হত্যা মামলার একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি এখনো। বরং মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে আমির হামজাসহ অন্যান্য আসামিরা। আয়-রোজগার না থাকায় নিহতের স্ত্রী ও তার ছয় সন্তানের করুন দিন যাচ্ছে। দ্রুত সময়ে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি বাদি কামাল হোসেনের।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এক আসামির লাস্ট লোকেশন কক্সবাজার, আরেকজন চট্টগ্রাম দেখা যায়। এরপর থেকে দুইজনই সিম ও ডিভাইস সম্পন্ন বন্ধ রাখে। অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ারুল হোসাইন।