তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পশুহাটে ইজারদারের বিরুদ্ধে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীযরা এসব চাঁদাবাজি প্রতিরোধে টোল আদায়ের তালিকা ঝোলানো ও হাটের দিন সেখানে র ্যাবের ক্যাম্প স্থাপন এবং টহলের দাবি করেছেন। এদিকে চলতি মৌসুমে মেয়র সিন্ডিকেটের অশুভ তৎপরতায় মুন্ডমালা হাটের ইজারা মুল্য উঠেছে প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৫৬ লাখ টাকা বেশী। অথচ হাট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়েনি বরং কমেছে, ইজারদার বাহিনীর জুলুম-নির্যাতন ও চাঁদাবাজির কারণে এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী হাট তার জৌলুস হারিয়েছে তার পরেও কেনো হাটের ইজারা মুল্য দ্বিগুন ?
গত বছর ইজারা মুল্যে ছিলো ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ বছর তহিদুল ইসলাম সিডিউলে ইজারাদার মুল্যে দিয়েছেন ১ কোটি ২৩ লাখ, রামিল হাসান সুইট ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং শওকত আলী ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। স্থানীয়রা বলছে, মেয়র তার অনুগতদের হাট ইজারা পাইয়ে দিতে প্রতিযোগীতামুলকভাবে ইজারা মুল্য বাড়িয়েছে। এর দায় বহন করতে হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের। কারণ ইজারার টাকা সুদাসলে উশুল করতে ব্যবসায়ীদের উপর করা হচ্ছে জুলুম-নির্যাতন। এতে মেয়রের জিদ বহাল থাকলেও চরম ক্ষতির আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী মহল। ব্যবসায়ীরা বলছে, এমনিতেই টোল আদায়ের নামে জুলুম-নির্যাতন চাঁদাবাজিতে তারা অতিষ্ঠ,তার ওপর অতিরিক্ত ইজারা মুল্য গোঁদের ওপর বিঁষফোঁড়া।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, হাট ইজারার ৪০ শতাংশ টাকা হাটের উন্নয়নে ব্যয় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তবে মুন্ডুমালা হাটের উন্নয়ন একটি টাকাও ব্যয় করা হয় না, এখানো হাটে প্রবেশ করতে নাকে রুমাল দিতে হয়। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কল্যান তহবিল ও ভ্যাট প্রদান নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টোল আদায়কারী বলেন, কে কি বললো সেটা নিয়ে ভাববার সময় নাই, ইজারার টাকা উত্তোলন করতে যা দরকার তা করা হবে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মেয়র সাইদুর রহমানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।