বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিজধরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের একাধিক ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ জানা গেছে, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা পরিষদের সদস্যদের কোন কাজে সম্পৃক্ত না করে নিজের ইচ্ছামাফিক বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকেন। তিনি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেননা। তিনি ইউপি সদস্যদের সাথে অশালীন ব্যবহার করেন। ট্যাক্সের টাকা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,, ভিজিডি, ভিজিএফ সহ বিভিন্ন ভাতার নামে সুবিধাভোগীদের কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন ও সরকরি বরাদ্দের মালমাল কম দিয়ে আত্মসাৎ করে থাকেন। অর্থ ছাড়া পানির ফিল্টার বরাদ্দ করা হয়না। তাদের সস্মানী ভাতাও অনিয়মিত।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একই জায়গায় কাবিখা, কাবিটা, টিআর ও এলজিএসপি ‘র বরাদ্দ দিয়ে অধিকাংশ অর্থ ও কোন বাজেট কমিটির মিটিংও সিদ্ধান্ত ছাড়াই ২০২২- ২০২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা উন্নয়ন কাজে ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। হোল্ডিং নেইম প্লেট, দেয়ার নামে, মৎস্যজীবিদের কার্ডের বিপরীতে অর্থ ও পরিষদের আওতাধীন জমি, পুকুর ও অস্থায়ী পরিষদ ভবন ভাড়ার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগ প্রেক্ষিতে সোমবার (৮ মে) জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নিবাহী অফিসার এসএম তারেক সুলতান সরেজমিনে তদন্ত করেন। এসময় পরিষদে সংরক্ষিত ১০৪০ বস্তা চালের মধ্যে ৮৫ বস্তা চাল পরিমাপ করেন। এসব বস্তার মধ্যে ষ্ট্যর্ন্ডাট বস্তা অর্থাৎ বস্তাসহ ৩০ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের বস্তা পাওয়া গেছে ২০ টি,, ভালো বস্তা কিন্তু ওজনে কম ২১ বস্তা, ৪৪ টি বস্তা ওজনে কম ও ছিদ্র পাওয়া গেছে । এছাড়াও স্থানীয় সুবিধাভোগী, চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। এবিষয়ে আরো সাক্ষ্য ও তদেন্তর বিষয় রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, গোডাউন থেকে যেভাবে আমাদের দেয়া হয় সেভাবেই আমরা সরবরাহ করে থাকি। যদি কোন অনিয়ম হয় তা গোডাউন থেকে হয়। গোডাউনের অনিয়মের বিষয়ে বহুবার অবহিত করা হয়েছে। কোন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *