রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৮ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ ৪৮ জন
ক্যান্ট পাবলিক রংপুর ৪৯৯ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ ৪৬০ জন
রংপুর জিলা স্কুলে ২৫৪ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ ২০১ জন
পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজ ৩৭৫ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ ২৬৪ জন
কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২২১ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৯ জন।
রংপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫৮ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ ১৯৩ জন।
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১১২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৩ জন।
লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫৭ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬১ জন।
আরসিসিআই পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮৮ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ জন।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার গতবারের চেয়ে কমে গেছে। বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবার গড় পাসের হার ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ হাজার ৮ জন। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৫৭৮ জন।

সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃ তোফাজ্জুর রহমান।

তিনি জানান, এ বছর দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৪৬ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৭ জন। কৃতকার্য হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮২ জন। মোট পরীক্ষার্থী মধ্যে ১৩ হাজার ৩৬৮ জন ছাত্রী এবং ১২ হাজার ২১৮ ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেননি ২ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী। উপস্থিত পরীক্ষাদের মধ্যে ছাত্রদের উপস্থিত ছিল ৮ লাখ ৮ হাজার ২০৫ জন এবং পাসের হার ৮০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এছাড়া ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল ৮ লাখ ৬ হাজার ৭২ জন এবং পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বহিস্কৃত হয়েছেন ৩৬ পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৮১ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। মানবিক বিভাগে ১০ লাখ ৬ হাজার ৩৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়, পাসের হার ৬৭ হাজার ১১ শতাংশ।ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪ হাজার ৫৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ বিভাগে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শতভাগ পাশকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৭টি, শূন্য পাশের হার ৫টি কলেজে।

এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে দিনাজপুর জেলা। এই জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৮৭২ জন।পরেই রয়েছে রংপুর জেলা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৮২৭ জন। গাইবান্ধায় ৪ হাজার ৪৯ জন, নীলফামারীতে ২ হাজার ৭৯৬ জন, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ২০৩ জন, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৯৯ জন, ঠাকুরগাওয়ে ২ হাজার ৫১৩ জন এবং পঞ্চগড়ে ১ হাজার ২২৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

রংপুর বিভাগের দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডর মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে দিনাজপুর জেলা। এর পরই রয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা। পাসের হারের রংপুর জেলা রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দিনাজপুর জেলার ৩৩ হাজার ৮৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৮ হাজার ২৯৪ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৮৭২ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *