হুমায়ূন আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টার, আদমদীঘি বগুড়া।
১১দফা দাবী বাস্তবায়নে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের আজ দ্বিতীয়। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে ভোগান্তি বেড়েছে আরও। বাস না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তেব্যে ছুটছেন ইজিবাই, সিএনজি অটো রিকশা ও রিকশা ভ্যানে। এতে করে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদিকে, আগামীকালকের বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মোটরসাইকেল দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর শোভাযাত্রা। এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ১২টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘি বাস স্ট্যান্ডে মহাসড়কে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় রংপুর বগুড়া থেকে আসা কয়েক হাজার নেতাকর্মী আগামীকালের মহাসমাবেশে যোগদান করতে বাইক দিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন, এরই মধ্যে স্লোগান ও স্লোগানে নিজেদের উজ্জীবিত করে রাখছেন বিএনপি নেতা কর্মীরা। তাদের একটাই দাবি যে কিছু বিনিময় আমার রাজশাহী বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণ করব। নওগাঁ জেলা থেকে ক্রাইম রিপোর্টার কাউসার আহমেদ বলেন, বিভিন্ন জেলা উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকে আসা বিশাল গণজোয়ারের এক মোটরসাইকেল র‍্যালি নওগাঁর মুক্তির মোড়ে উপস্থিত হয়, এতে বিভিন্ন যান চলাচলের বিভিন্ন ঘটে, নওগাঁর ব্রিজের মোড় থেকে মুক্তির মোড় পর্যন্ত বিএনপির গণজোয়ার মোটরসাইকেল বাইক র‍্যালি, তাদের থেকে জানতে পারা যায় রংপুর, বগুড়া, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি, থেকে আমাদের এক বাইক র‍্যালি আসবে তাদের সাথে একত্র হয়ে আমরা রাজশাহীর গণ সমাবেশে যোগদান করব। আমাদের রাজশাহী মহানগর প্রতিনিধি শুভর কাছ থেকে জানা যায়, রাজশাহীতে বিএনপি’র জন সমাবেশকে কেন্দ্র করে পথে পথে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রাজশাহীর বিভিন্ন প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে গতকাল রাতে রাজশাহী রেল স্টেশনেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তল্লাশি করতে গিয়ে আসা নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করছে পুলিশ। আবার অনেককেই রাজশাহী শহরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তাদেরকে বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। গত বুধবার থেকে এই অবস্থা চালাচ্ছে পুলিশ। বিএনপির চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু এক সাক্ষাৎকারে জানান, পুলিশি বাধা এবং হয়রানি উপেক্ষা করে এরই মধ্যে কয়েক লাখ নেতাকর্মী রাজশাহী শহরে প্রবেশ করেছেন। এরই মধ্যে অনেকেই রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের পাশে ঈদগা মাঠে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। নেতাকর্মীদের থাকার জন্য তাঁবু টানানোর ব্যবস্থা করা হলেও পুলিশ প্রথম দিকে তাতেও বাধা প্রয়োগ করে। ফলে অনেক নেতাকর্মীকে রাতে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হচ্ছে। এদিকে শুক্রবার সকালে রাজশাহী ঈদগাহ মাঠে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী তাঁবুর নিচে রাত কাটিয়েছেন। অনেকেই খোলা আকাশের নিচেও রাত কাটিয়েছেন। ঈদগা মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের চলছে রান্না এবং খাওয়া-দাওয়া। এরই মধ্যে স্লোগান ও স্লোগানে নিজেদের উজ্জীবিত করে রাখছেন বিএনপি নেতা কর্মীরা। নাটোরের নলডাঙ্গা থেকে আসা নাইমুল ইসলাম নামের এক কর্মী আমাদের সিএন টিভি ২৪ এর এক প্রতিনিধিকে বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে অনেক কষ্ট করে বৃহস্পতিবার রাজশাহী এসে পৌঁছেন তিনি। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে রাজশাহী ঈদগাহ মাঠে এসে পৌঁছান তিনি। এর পর খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করেন। তার মতো আরো অনেক নেতাকর্মী অনেকেই এসে যে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেন। পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা নিজাম হোসেন নামে বিএনপি কর্মী বলেন, তারা বুধবার রাতে এসে তাবু গড়েছেন। সেই তাবুতে তারা অবস্থান করছেন। তাদের মতো অনেকেই তাবুর নিচে রাত যাপন করেছেন। শনিবার সমাবেশ শেষ করে তারা বাড়ি ফিরবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *