জুয়েল আহমেদ :
রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার সেই পুলিশ কনস্টেবল আতিকুর রহমান আতিক পেলেন বিপিএম পদক। সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই পদক পরিয়ে দেন পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম। কনস্টেবল আতিক বর্তমানে বগুড়া জেলা পুলিশে কর্মরত আছেন। তাঁর স্ত্রীও বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত আছেন।অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ ও দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা এবং শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ পদক (সাহসিকতা) ২০২০ এ ভূষিত কনস্টেবল আতিকুর রহমান আতিককে এই পদক পরিয়ে দেয়া হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), সরকারি পুলিশ সুপার (আদমদীঘি সার্কেল/গাবতলী সার্কেল), বিভিন্ন ইউনিট ইনচার্জ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।প্রসঙ্গত; গত বছরের ২১ জুলাই দুর্গাপুর থানা সংলগ্ন মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হোজা নদীতে পা ভেজাতে গিয়ে পানির প্রবল স্রোতে ভেসে যায় স্থানীয় তিন শিশু। এ সময় অনেকেই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেও কেউ এগিয়ে যাননি ওই তিন শিশুকে বাঁচাতে। তবে তিন শিশুর স্রোতে ভেসে যাওয়ার সে দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি দুর্গাপুর থানা পুলিশের ড্রাইভার কনস্টেবল আতিক। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি একাই নদীর প্রবল স্রোতে ঝাপিয়ে পড়ে পানির প্রবল স্রোত থেকে টেনে তুলে ওই তিন শিশুর জীবন বাঁচান।এমন সাহসী কাজের কারনে থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের প্রশংসা কুড়িয়েছেন আতিক। স্রোতে ভেসে যাওয়া ওই তিন শিশু হলো, দুর্গাপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল জাকির হোসেনের পুত্র মাহাদী (১১), স্থানীয় ইয়ানুচ আলীর পুত্র রুবেল (১১) ও কলেজ শিক্ষক আয়নাল হকের পুত্র স্বচ্ছ (১০)।কনস্টেবল আতিকের এমন সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ঘটনার পরেরদিন রাজশাহীর তৎকালীন পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ তাঁকে নগদ অর্থ সহায়তা, সম্মাননা স্বারক ও সনদপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সদরদপ্তরের মুল্যায়নে বিপিএম পদকে ভূষিত হন কনস্টেবল আতিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *