জুয়েল আহমেদ :
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একযোগে দেশের ৬৩ জেলায় প্রায় ৫০০ বোমা ফাটিয়ে প্রচলিত শাসন ও বিচারপদ্ধতি বাতিল করার দাবি জানিয়েছিলো নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি।

সেদিনের সেই ভয়ঙ্কর হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। রাজশাহী মহানগর, জেলা ও যুব লীগের আয়োজনে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।


রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বুধবার বিকালে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।


বক্তব্য দেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ডাঃ মনন কান্তি দাস।


সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ২০০৫ সালের এই দিনে জঙ্গি গোষ্ঠিরা সারাদেশের ৬৩টি জেলায় বোমা হামলা করেছিলো। জনগণের রায়ে আজ তারা ক্ষমতার বাইরে। তারা স্বপ্ন দেখেছিলো এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করবে। তারা স্লোগান দিয়েছিলে, “আমরা হবো তালেবান, বাংলাদেশ হবে আফগান।” বীর বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দূর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে পরাস্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আমরা সকলেই সর্বদা ও সর্বক্ষণ প্র¯‘ত আছি, কোনভাবেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের ক্ষমতায় দখল করে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত হতে দেওয়া হবে না।ডাবলু সরকার বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গি বাহিনীরা মুন্সিগঞ্জ ব্যতীত সারাদেশের সকল জেলায় বোমা হামলা করেছিলো। ঐ ধারাবাহিকতায় তৎকালিন বিএনপি-জামায়াতের মদদে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বাংলা ভাইয়ের আবির্ভাব ঘটে এবং এই বাংলা ভাই বাগমারাতে অনেক আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা তৎকালিন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াতের ছত্রছায়ায় এই রাজশাহী নগরীতেও পুলিশের সহায়তায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে মিছিল করে তৎকালিন পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে। তারা রাজশাহীবাসীকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলো।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক তৎপরতায় ওই সকল জঙ্গি গোষ্ঠি তথা বাংলা ভাই গ্রুপ বিতাড়িত হতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সজাগ ও প্রস্তুত আছি। কোনভাবেই স্বাধীনতা বিরোধীদের এদেশের ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া হবে না।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য জাহির উদ্দিন তেতু, আশরাফ উদ্দিন খান, আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, মোখলেশুর রহমান কচি, মাসুদ আহমদ, কে এম জুয়েল জামান, শাহ্মখদুম থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালাম রেজা, নগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, নগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনার, সদস্য সচিব মোকসেদ-উল-আলম সুমন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *