জুয়েল আহমেদ :
রাজশাহী মহানগরীতে ৬৩ হাজার ৭৩২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১২-১৫ জুন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা রক্ষণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে সার্বিক তথ্য চিত্র উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহী মহানগরীতে ৩৮৪টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লক্ষ আই ইউ) খাওয়ানো হবে। ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (দুই লক্ষ আই ইউ) খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ১৩৮ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ৫৯৪ জন শিশুকে জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২জন করে সর্বমোট ৭৬৮ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে।সভায় জানানো হয়, শিশুর অন্ধত্ব থেকে রক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ‘ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ‘এ’ অপরিহার্য। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর জন্য নিরাপদ। কোন শিশু যেন ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর সরকারি এ কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিশুর স্বাস্থ্যসুরক্ষায় ইপিআই কার্যক্রমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাফল্য উল্লেখযোগ্য সাফল্য।রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান পরিষদ রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশ উন্নয়নে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। করোনা পরবর্তী সময়ে আগামী দিনের শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারী রাজশাহী মহানগরীতে পালনে কর্মসূচি সুষ্ঠু ও সফলভাবে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।সভায় আরও জানানো হয়, শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর জন্য সকলকে অবহিত করতে হবে। এ ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্যে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগ কমিয়ে আনা, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল কমিয়ে আনা এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা।প্রতিটি কেন্দ্র সকাল ৮টা হতে ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা, মাইকিং, মসজিদে জুম্মার নামাজের পূর্বে মসজিদের ইমাম-খতিবের মাধ্যম্যে মুসল্লিদের অবহিতকরণ এবং অন্যান্য উপাসনালয়ের মাধ্যমেও একই বার্তা প্রেরণ করা হচ্ছে।সংবাদ সম্মেলনে রাসিকের মেডিকেল অফিসার ডা. তারিকুল ইসলাম বনি, মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মুল খায়ের ফাতিমা, জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু, স্বাস্থ্য বিভাগের শেখ আরিফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *