স্পোর্টস ডেস্ক নিউজঃ

 

রোববার রাতে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্স করেছেন লিওনেল মেসি। দলকে ৫-০ গোলে পাইয়ে দেওয়া জয়ে তিনি নিজেই করেছেন ৫টি গোলের সবকটি। একই রাতে উয়েফা নেশনস লিগ ‘এ’ এর ২ নম্বর গ্রুপে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে পর্তুগাল। স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের দৃষ্টি ছিল দলটির প্রাণভোমরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ওপর। মেসির রাতে হতাশ করেননি সিআরসেভেন। তার জোড়া গোলে সুইজারল্যান্ডকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পর্তুগাল।

 

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পরিসংখ্যান রোনালদোর পক্ষে। প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে আবারও জ্বলে ওঠেন রোনালদো। তিন বছর আগে রোনালদোর হ্যাটট্রিকে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল সুইসদের। সেদিন নেশনস লিগের প্রথম আসরের ফাইনালসের শেষ চারে ৩-১ গোলে জিতেছিল পর্তুগাল। রোনালদো এই ম্যাচেও হ্যাটট্রিক হতে পারতেন। তবে অনেকগুলো সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।

 

যদিও এদিন পর্তুগালের পক্ষে গোলার খাতা খোলেন উইলিয়াম কারবাইয়ো। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে পোস্টের কাছ থেকে ডান পায়ের শটে গোল করে পর্তুগালকে প্রথম এগিয়ে নেন তিনি। ৩৫তম মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোল। এবার স্কোর শিটে নাম তোলেন রোনলদো। ব্রুনো ফের্নান্দেসের বাড়ানো বল চোখের পলকে জালে জড়িয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন তিনি। ৪ মিনিট পর রোনালদো নিজ করেন দ্বিতীয় গোল, দলকে উপহার দেন তৃতীয় গোল।

 

৪২ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি রোনালদো। কানসেলোর ছয় গজ বক্সে বাড়ানো পাসে রোনালদোর টোকায় পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বল। বিরতির আগে আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।

 

বিরতির পর আক্রমণের ধারা অব্যাহত থাকে তাদের। এতে ৬৮ মিনিটে চতুর্থ গোলের দেখা পেয়ে যায় পর্তুগাল। বার্নাডো সিলভার এসিস্টে হোয়াও ক্যানসেলো ডান পায়ের শটে গোল করেন। রোনালদো নিজের হ্যাটট্রিকের কোটা পূরণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ৬৪ ও ৮৪ মিনিটে। তবে এ যাত্রায়ও সফল হতে পারেননি পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। পরে ৪-০ ব্যবধানের জয় পায় পর্তুগাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *