খ ম সাইফুল হাবিব সজিব (স্টাফ রিপোর্টার) :

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতকে বিশেষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের ২১ তম সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন এবং সনদ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গামী তরুণ সমাজকে দেশপ্রেমিক ও দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা এবং গবেষণা, প্রযুক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। এই গুণগত মান বৃদ্ধিতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোগত ও গুণগত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল-পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যেভাবে ডিগ্রিগুলো অর্গানাইজড আছে তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমাদের মডিউলার এডুকেশনে যাওয়ার কথা। সামনে যে দিন আসছে, যেভাবে দ্রুত পৃথিবী পরিবর্তন হচ্ছে তাতে আজ যে ডিগ্রি অর্জন করে যাচ্ছেন পাঁচ বছর পর তা আর প্রয়োজন নাও হতে পারে। সে জন্য রিস্কিল করতে হবে, আপস্কিল করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেন- ‘তোমরা চাকরি শুধু খুঁজবে না। তোমরা উদ্যোক্তা হবে। অন্য বহু মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে। মাদক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন থেকে নিজেদের মুক্ত রাখবে’। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যেন আপনাদের হৃদয় আচ্ছন্ন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সাম্প্রদায়িকতা যেন আমাদের সমাজ ও জীবন থেকে দূর করে দিতে পারি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কাজু ইয়ামামোটো। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইসতিয়াক আবেদিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *