নিজস্ব প্রতিবেদক :
নাটোরের সিংড়ায় গভীর রাতে ধান চুরি করে নিয়ে ভোরে বিক্রয়ের সময় অটোভ্যান সহ ধরা পরলেন এক চোর ও আরো দুই চোর পলাতক।

উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের আগমুরশ কলিয়া বাজারে এঘটনা ঘটে।

জানা যায়,আগমুরশ গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস পিতা জুব্বার আলী সে গত ১৮.০৯.২২ ইং রবিবার দিবাগত রাতে কলিয়া বাজারে প্রায় একশো মণ ধান, ভোরে জামতলা হাটে ধান নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করবে, কুদ্দুস এর ছেলে ওই রাতেই আরেকটি অটোভ্যান করে ধান নিয়ে জামতলা হাটে রেখে আসার পথে দেখে রফিকুল তাহার নিজ অটোভ্যান এ তিন বস্তা ধান নিয়ে জাচ্ছে জামতলা বাজারের দিকে, পরে বস্তা গুনে তিন বস্তা ধান কম হওয়ায় কুদ্দুস ও কুদ্দুস এর ছেলে অটোভ্যান চালক রফিকুল এর অটোভ্যান এর পিছনে পিছনে গিয়ে জামতলা বাজারে হাতে নাতে ধরে ও সে স্বিকার করে আমার সাথে আরও দুইজন আছে।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় একই গ্রামের আরও দুইজন এই চুরির সাথে জড়িত, জড়িত দুইজন হলো মমিন পিতা জনাব আলী,
আনিছুর পিতা জুব্বার আলী।

ধানের মালিক আঃ কুদ্দুস জামতলা থেকে রফিকুল কে অটোভ্যান ও ধান সহ হাতে নাতে ধরে কলিয়া বাজারে এসে জর্জিস, আলম সহ কলিয়া বাজার কমিটির কাছে বিচার দেয়।

ধান বহনকারী অটোভ্যানটি ধানের মালিক আঃ কুদ্দুস এর বাড়িতেই আছে, তবে কুদ্দুস এর দাবি আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই যদি তাহারা বিচার না করে আমি আইনগত বেবস্থা নিবো।

আগমুরশন গ্রামে একাধিক লোকজন এর কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,অটোভ্যান চালক রফিকুল এখন তাহার নিজ বাড়িতে আছে ও দুইজন পলাতক আছে।

এ বিষয়ে আগমুরশ ও কলিয়া বাজারের একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,
ঘটনা সঠিক, দুই একদিনের মধ্যে সুষ্ঠু বিচারের বেবস্থা করা হবে।

আগমুরশন গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ মজিদ এর ছেলে মোঃ জর্জিস বলেন,
ভুক্তভোগী আঃ কুদ্দুস আমাদের কাছে মৌখিক বিচার দিয়েছে, আমরা দুই একদিনের মধ্যে যদি আসপাশের গ্রামের গণ্যমান্য বেক্তিদের নিয়ে সুষ্ঠু বিচার করে দিতে পারি আমরা বিচার করবো নইলে ভুক্তভোগী কে জানিয়ে দিবো।

ওয়ার্ড মেম্বার সোহরাব আলী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ভুক্তভোগী আঃ কুদ্দুস আমার কাছে এসেছিল আমি বলে দিয়েছি বিচার করলে ইউনিয়ন পরিষদ এ চেয়ারম্যান এর উপস্থিতি তে বিচার করা হবে।

সুকাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফা বলেন,বিষয় টি আমার জানা ছিলো না এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *