মোস্তফা প্রামানিক
সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধিঃ

সমন্বিত কৃষি ও ফলের বাগান করে সাফল্য পেয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১১ নং ছাতারদিঘী ইউনিয়ন ছাতার বাড়িয়া গ্রামের তাইবুর রহমান নামে এক কৃষক । ১০-১২ বিঘা জমির উপর তিনি মৎস্য চাষ, গরু, ছাগল, মুরগি, কবুতর এর খামার ও বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ, লাগিয়ে এ সাফল্য পেয়েছেন।
সাকিব এগ্রো ফার্ম এর স্বত্বাধিকারী নাজমুস সাকিব তাইবুর রহমানের ছেলে। পেশায় তিনি একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার। কৃষি নিয়ে কাজ করছেন প্রায় ১০ বছর। চাকুরীর পাশাপাশি বাবার শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তিনিও কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ হন। সম্প্রতি তিনি ফলের জাত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, তাইবুর রহমান ও তার ছেলে নাজমুস সাকিবের সমন্বিত এ বাগানে বিভিন্ন জাতের মালটা গাছ, বিভিন্ন জাতের কাগজি লেবু গাছ, থাই পেয়ারা গাছ, লিচু গাছ, পেঁপে, আমড়া গাছ,ও বিভিন্ন জাতের আম যেমনঃ কিউজাই, ইটুআরটু, কিউ চাকাপাতা, কাটিমন, গৌড়মতি, ন্যাংড়া, কালুয়া, ক্ষিরসাপাত, আমরুপালির পাশাপাশি বড়ই, তিনফল, লংগান, সৌদি খেজুর, সফেদা, শরিফা, থাইল্যান্ড ডাব, ইন্ডিয়ান আনারগুল, ড্রাগন ফল ছারাও বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রোপণ করেছেন তিনি। প্রতিবছর বাগান থেকে চারা ও ফল মিলিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। বাগান পরিচর্যার জন্য সার্বক্ষণিক দুইজন কর্মচারী নিযুক্ত আছেন।

নাজমুস সাকিব জানান, প্রথম অবস্থায় দেশীয় চারা গাছের সাফল্য না পেয়ে বিদেশ থেকে ভাল জাতের চারা সংগ্রহ করি। গ্রাফটিং এর মাধ্যমে ভাল জাতের চারা গুলো বাগানে সম্প্রসারণ করছি। পরবর্তীতে তা বাণিজ্যিক আকারে জনগণের মাঝে সম্প্রসারণ করার ইচ্ছে আছে। বিভিন্ন প্রকার ফল ও আবাদের কথা মাথায় রেখে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা আরও বেশি করে ফলদ বৃক্ষের বাগান তৈরী করতে চাই। এতে করে স্থানীয়ভাবে ফলের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। সে মানষিকতা নিয়েই আমরা সমন্বিত এ ফলের বাগান গড়ে তুলেছি।

সাকিব এগ্রো ফার্ম পরিদর্শনে এসে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা জানান, কৃষক তাইবুর রহমান ও তার ছেলে বিভিন্ন ধরনের ফলদ চারা লাগিয়ে একটি সমন্বিত ফলের বাগান গড়ে সাফল্য পেয়েছেন । ফলের জাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যা এখন একটি আদর্শ ফলের বাগানে পরিণত হয়েছে। এ বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উন্নত মানের চারা প্রদানসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। এ সমন্বিত ফলের বাগান দেখে এলাকার কৃষকেরা যেন এ ধরনের ফলের বাগান তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠে সে চেষ্টাই করছি। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে সকল প্রকার কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *