গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম হাসান আলীকে সভাপতি এবং আব্দুস সামাদ তালুকদার সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১০১ জনের মধ্যে ২৭ জনকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি, সাহিত্যিক এবং গবেষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ড. মোঃ জয়নুল আবেদীন রোজ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত তাড়াশ থানার সগুনা ইউনিয়নের খাঁটি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তিনি সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, অবিভক্ত মিরপুর থানা কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, যুক্তরাজ্য জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দাদা শহীদ এন্দাজ আলী প্রামানিক আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়ে তাড়াশে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেন যাকে রাজাকারের গুলিতে জীবন দিতে হয়েছিলো। তাঁর বড় চাচা (জেঠা) মরহুম আমজাদ হোসেন সগুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন, মামা মরহুম আব্দুল আজিজ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। বাবা মৃত সিরাজুল হক প্রামানিক সগুনা ইউনিয়নের সিলেক্টেড মেম্বার ছিলেন যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন এবং নাটোরের গুরুদাসপুরের কয়েকটি নির্যাতিত হিন্দু পরিবারকে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে মাসের পর মাস রক্ষা করেন। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস সম্পর্কে তাঁর মামা। তাঁর নিকটাত্মীয় এমন কি দূর সম্পর্কেরও কেউ নেই যিনি আওয়ামী লীগ করেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. হোসেন মনসুর তাঁর বেয়াই যিনি (মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগ করতেন) ড. মোঃ জয়নুল আবেদীন রোজ-এর বড় চাচা আমজাদ হোসেন চেয়ারম্যানের সহ ৭১ এ পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন।

আলহাজ্ব ড. মোঃ জয়নুল আবেদীন রোজ-এর কাছে তাঁর অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন, ” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা সঠিকভাবে পালন করে সকল অপশক্তির মোকাবেলা করে পুনরায় আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, দেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হয়। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি, ধন্যবাদ জনাব ওবায়দুল কাদের মহোদয়কে, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম হাসান আলীর হোসেন মহোদয় সহ কমিটির সবার প্রতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *