জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং সুনামগঞ্জ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটরই (পিপি) অ্যাডভোকেট ড. খায়রুল কবির রুমেন৷ তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি, এমপি মরহুম এডভোকেট আব্দুর রইছ ও সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভানেত্রী মরহুম রফিকা রইস চৌধুরীর ছেলে৷ এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার এনামুল কবির ইমন এর বড় ভাই৷ উনার বড়ভাই ফজলুল কবির তুহিন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব৷ উনার বড়ভাই ফজলুর কবির শাহীন পেশায় একজন ডক্টর৷ [খবর-বর্তমান সময়.কম]

আজ ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে রাতে দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। [খবর – বর্তমান সময়.কম
bortomansomoy.com]

এবারের সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থনে প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মতিউর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটরই, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামছুন্নাহার বেগম শাহানা, বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নোমান বখ্ত পলিন এবং জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তারিখ হাসান দাউদ।

জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুকুট প্রায় ২০ বছর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনকে বিগত নির্বাচনে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিগত নির্বাচনে মুকুট পেয়েছিলেন ৭৮২ ভোট এবং ব্যারিস্টার ইমন ৪২০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

গত ২৩ আগস্ট জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৭ অক্টোবর স্থানীয় এই সরকারের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তফসিল অনুযায়ী-মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৮৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, চার পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ১১ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগন ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট ড.খায়রুল কবির রুমেন বলেন, আমাকে দলীয় ভাবে মনোনীত করায় দলীয় প্রধান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘চার’ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। তিনি মাঠের কর্মীকে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি আরো বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি আদর্শের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমাদের পরিবার সর্বদাই আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত থেকেছে৷ আমার পিতা সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি এমপি মরহুম এডভোকেট আব্দুর রইছ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক৷ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সহ সপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময় ছিলো আওয়ামী লীগের দুর্দিন আর সেই পঁচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়েও আমার পিতা মরহুম এডভোকেট আব্দুর রইছ সাহেব সভাপতির দায়িত্বে বহাল থেকে নেতা কর্মীদের সুসংগঠিত রেখে দলীয় সকল কার্যক্রম বহাল রেখেছিলেন৷ তেমনি আমার মা মরহুম রফিকা রইস চৌধুরী সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভানেত্রী ছিলেন৷ তিনিও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আস্তা রেখে আজীবন আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে গেছেন৷ তিনি আরো বলেন, আমার ছোট ভাই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তিনিও আওয়ামীলীগের জন্য নিবেদিত৷ তিনি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো বেশি শক্তিশালী করণের লক্ষ্যে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করনে সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করে চলেছেন৷ তিনি বলেন, আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে আজীবন কাজ করবে৷ একজন আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে আমাকে মূল্যায়ন করায় আমি আমার পরিবার সহ সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *