সুনামগঞ্জ পুরান কান্দিগাঁও শ্যামনগর দুটি গ্রামের কবরস্থানের মাটি কেটে বেরিবাঁধে নির্মাণের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের

স্টাফি রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের পুরান কান্দিগাঁও ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউপির শ্যামনগর এই দুটি গ্রামবাসীর কবরস্থানের মাটি কেটে নিয়ে ফসল রক্ষা বাঁধে মাটি ভরাটের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার এই দুটি গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানের মাটি কেটে নিয়ে যায় ফসলরক্ষা বাধেঁর কাজে নিয়োজিত ৪২নং পিআইসি কমিটির সদস্যরা।

এ ঘটনায় গত পহেলা ফেব্রæয়ারী পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা এমরান হোসেন সহ শ্যামনগর ও কান্দিগাঁও এই দুটির গ্রামের ১০ জনের স্বাক্ষর নিয়ে পাথারিয়া ইউনিয়নের পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের রশিদ উল্লাহর ছেলে তারিফ উল্লা এবং একই গ্রামের আলীর ছেলে আরজ আলীর বিরুদ্ধে এই কবরস্থানের মাটি গোপনে ৪২ নং পিআইসির কমিটির সদস্যদের নিকট গোপনে বিক্রির অভিযোগ এনে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে পাথারিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার মিহির চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে এসে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলেন এবং তিনি তথ্য সংগ্রহ কওে নিয়ে যান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,শ্যামনগর ও পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের পশ্চিমে চালিয়ারনির হাওর সংলগ্ন কান্দিগাঁও মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ২১৯৯ দাগে ৬ একর ১০ শতক জায়গায় উভয় গ্রামবাসীর কবরস্থান রয়েছে। উক্ত কবর স্থানের জায়গা থেকে গ্রামবাসীকে না জানিয়ে খাই হাওরের ৪২ নং পিআইসি কমিটির কাছে গোপনে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮শত টাকার মাটি বিক্রি করে দেন তারিফ উল্লাহ ও আরজ আলী। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রামবাসীর বাঁধাকে উপেক্ষা করে পিআইসি কমিটি লোকজন এসকেভেটর ও ড্রাম ট্রাক লাগিয়ে প্রায় গভীর গর্ত করে প্রায় ৬০ শতক জায়গা থেকে লক্ষাধিক পরিমান মাটি কেটে বেরিবাঁধে নিয়ে যান। শনিবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে ইউপি সদস্য এমরান হোসেন,শ্যামনগর গ্রামের সাবেক মেম্বার ইকবাল হোসেন,শ্যামনগর গ্রামের আলাল হোসেন,আব্দুল হামিদ,সেনু মিয়া,মাসুক মিয়া,পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের জিয়াউর রহমান, ছুয়াব আলী,কাচা মিয়া সহ অনেকেই জানান,এই কবরস্থানটিতে শ্যামনগর,কান্দিগাঁও সহ আশপাশের লোকজন মারা গেলে এখানে এনে কবর দেওয়া হয়। এই কবরস্থানের মাটি বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের তারিফ উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমি গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বেরিবাঁধে মাটি দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ৪২ নং পিআইসির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, কবরস্থানের মাটি বলে আমি জানিনা,তারিফ উল্লা নিজের জায়গার মাটি বলে আমাদেরকে কেটে নেওয়ার জন্য বলেছেন।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সকিনা আক্তার বলেন,অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তহসিলদারকে পাঠিয়েছি সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান জানান,তদন্ত মোতাবেক জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *