স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি //

“তিন মাস পরে আওয়ামীলীগ খুঁজে পাওয়া যাবেনা” দল ক্ষমতায় আসতে আছে। এমন দুঃসাহসিক হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শাকিল সিকদারের বিরুদ্ধে। গুয়ারেখা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি মিন্টু ফকির এমন অভিযোগ করেন ।

সম্প্রতি কুদ্দুস সিকদারের একটি মুরগির খামার নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ঐ রিপোর্টে মিন্টু ফকির সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে খামারটির বিষয়ে বক্তব্য দেন। কুদ্দুস সিকদারের খামারের দুর্গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ এবং খামার অন্যত্র অপসরন বিষয়ে কথা বলেন। তারই জের ধরে মিন্টু ফকিরকে কুদ্দুস সিকদার এর ছেলে শাকিল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে, দল ক্ষমতায় আসতে আছে তিন মাস পরে দেখা যাবে। আওয়ামিলীগকে তখন খুজেও পাওয়া যাবেনা। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়।

মিন্টু ফকির আরো জানায়, শাকিল মাদক সেবন করে। তার নেতৃত্বে এলাকায় একটি মাদকচক্রটি গড়ে উঠেছে। তার পালিত বাহীনির ওইসব লোকেরা ছোটখাটো নানান ব্যবসার আড়ালে মাদক বেচাকেনা করছেন।

ঐ চক্রটি সকলের চোখে ফাকি দিয়ে ইউনিয়নের কলাখালি, শ্রীরামকাঠি, উপজেলার সীমান্ত ঝালকাঠি জেলার হিমানন্দকাঠি, সিমান্ত আটঘর থেকে মাদক বহন করছেন। বহনকৃত ওইসব মাদক খুব সহজেই তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এলাকার যুব সমাজের মধ্যে। এ বিষয়ে আমি পাটিকেল বাড়ি পুলিশ ফাড়িত অফিসার ইনচার্জের অভিযোগ করেছি।

 

আরো জানা যায়, শাকিল সিকদারের পিতা অত্র এলাকার একজন প্রভাবশালি জনৈক কুদ্দুস সিকদারের ছেলে। তার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান ছিলো। শাকিল তার পিতার সাইনবোর্ডে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় সর্বত্র। শাকিলের নেতৃত্বে গোটা এলাকার বখাটে উঠতি বয়সি বেশ কিছু ছেলেদের নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি বাহীনি। এ নিয়ে চিন্তিত এলাকার অভিবাভক সমাজ।

তারা করফা, এগারগ্রাম, পাটিকেলবাড়ী, রাজবাড়ী এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে সন্ধ্যা থেকে বিচরন করেন গভীর রাত অবধি। তারা কয়েকটিভাগে ভাগ হয়ে মোটর সাইকেল করে মাদক এনে ছড়িয়ে দেন ওইসব এলাকায়। তাদের মাদকের বিরুদ্ধে কেহ কোন প্রতিবাদ করলেই তাকে হতে হয় শারিরীক মৌখিক লাঞ্চিত। তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেনা শাকিল এর কুর্মের বিরুদ্ধে।

 

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে শাকিল অস্বীকার করে বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি বিএনপি করি কিভাবে আমি বিরোধী দলে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে এসব কথা বলি। বরং মিন্টু ফকির আমাকে এবং বিএনপিকে নিয়ে গালিগালাজ করছে বিএনপির কেউ এলাকায় থাকতে পারবেনা রগ কেটে ফেলবো। সে একটা আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি সে আমাকে যে ভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছে আমিতো রীতিমতো ভয়তে এলাকা থেকে ঢাকায় চলে এসেছি।

এবং মাদকের বিষয়ে শাকিলের কাছে জানতে চাইলে সে বলে, আমি কখনোই মাদকের ব্যবসা করিনায়। মাকদের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। এলাকার ছেলেপান আমার কাছে আসে। একদল লোক তা দেখে ইস্নানিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

 

এ বিষয়ে পাটিকেলবাড়ীর ফাড়ির ইনচার্জ মুজিবুর রহমান জানান, শাকিল সিকদার মিন্টু ফকিরকে মারধর করেছে বলে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাহার তদন্ত চলমান। নেছারাবাদ পুলিশ সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। মাদকের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকে অবশ্যই ব্যাবস্থা নেয়া হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *