জেলা প্রতিনিধি::
আগামী ১৭ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে চেয়াম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদে ভোটে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমনের বড় ভাই জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খায়রুল কবির রুমেন। দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকায় নেতাকর্মীরা এবার পরেছেন বিপাকে? নুরুল হুদা মুকুট তিনি ১৮বছর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকার পরও দল কেন দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে যারা রাজপথে কখনো আন্দোলন সংগ্রামে কোন মিছিল মিটিং করেনি এবং অতিথি পাখির মত হঠাৎ করে ঘরে বসে রাজনীতি করে দলের মনোনয়ণ পেয়ে যান সেটি মানতে পারছেন না সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক ত্যাগী নেতা কর্মীরা? তারই রুপরেখা ফুঠে উঠতে শুরু করেছে এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে। একই দলের দুই নেতার নির্বাচনী প্রতিযোগীতার কারনে এবার সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে কোন্দল এবং দেখা যায় অনেক নেতাদের ডিগবাজি ? নৌকা প্রতীক না থাকায় নুরুল হুদা মুকুটকে বিজয়ী করতে তার অনুসারিরা কাজ করছেন মটর সাইকেল প্রতীকের জন্য। অন্যদিকে দলের মনোনীত ঘোড়া প্রতীকের জন্য কাজ করতে হিমসিম খাচ্ছেন অনেক নেতা কর্মীরা ? হাট বাজার থেকে শুরু করে গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষসহ অনেক নেতাকর্মীদের মুখে শুনা যায় নানা কথা । অনেকে মন্তব্য করছেন আগামী ১৭ই অক্টোবর মোটর সাইকেল প্রতীকে নুরুলহুদা মুকুটের বিজয় নিশ্চিত? দল মুকুটকে মনোনীত করেনিতো কি হয়েছে সারাজীবন যে আওয়ামীলীগের জন্য রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছে থাকে দল মুল্যায়ন না করলেও সাধারণ মানুষ থাকে মুল্যায়ন করবে এমন প্রশ্ন বরাবরের মতো থেকেই যায়? জানা যায় গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন। কিন্তু নৌকা প্রতীক না পেয়ে চশমা প্রতীক থাকায় তার সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করে ছিলেন নুরুল হুদা মুকুট মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে। সেই নির্বাচনে নুরুল হুদা মুকুটের সাথে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করে ছিলেন দলীয় মনোনীত প্রার্থী চশমা প্রতীকের এনামুল কবির ইমন। মুকুটের সাথে পরাজয় বরণ করায় এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইমন অংশ গ্রহন না করে তারই বড় ভাই খায়রুল কবির রুমেনকে দিয়ে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ণ প্রার্থী করেছেন অদৃশ্য ক্ষমতা বলে এমনটি শুনা যায় হাট বাজারে নেতা কর্মীদের মুখ থেকে? সুনামগঞ্জ জেলায় আওয়ামী রাজনীতি অঙ্গনে নির্বাচন এলেই দেখা যায় সারাজীবন ছাত্র রাজনীতি করে আন্দেলন জেল জুলুমের শিকার হয়েও আওয়ামী রাজনীতি করে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দলের মনোনীত প্রার্থী হতে বঞ্চিত হচ্ছেন যারা তারাই সতন্ত্র প্রার্থী হন এবং নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে তারাই বিজয়ী হন। অন্য দিকে যাদের নাম পর্যন্ত কেউ যানে না তারাই অতিথি পাখির মতো হঠাৎ করে দলে প্রবেশ করে কিভাবে দলের মনোণীত প্রার্থী হন? এমন প্রশ্ন ত্যাগী নেতাদের থেকেই যায়। এবার নির্বাচনকে ঘিরে এ জেলায় প্রকাশ্যেই মুখ খুলছেন তাই দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেন না দলের নেতারাই। অন্য কোন দলের প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় চেয়ারম্যান পদে দলের মধ্যেই হবে নির্বাচনী লড়াই। নুরুল হুদা মুকুটকে বিজয়ী করতে তার অনুসারিরা ভোটারদের ধারে ভোট চাইছেন। আবার কেউ কেউ দল থেকে বহিস্কার হওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে না থাকলেও মুকুটকে বিজয়ী করতে আড়াল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রকাশ্যে রয়েছেন অনেকে তার মধ্যে ত্যাগী নেতা রেজাউল করিম শামীম। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি যিনি সারাজীবন আওয়ামী লীগ করে আসছেন এবার তিনি প্রকাশ্যে নুরুল হুদা মুকুটকে বিজয়ী করতে মোটর সাইকেল প্রতীকের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের এক জবাবে রেজাউল করিম শামীম বলেন, নুরুল হুদা মুকুট দলের জন্য সারাজীবন ধরে রাজপথে থেকে সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগকে তার নেতৃত্বে সু-সংগঠিত করে রাজনীতি করে আসছে। রাজপথে থেকে দলের প্রতিটি কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ জামাত বিএমপিকে বার বার মোকাবেলা করে অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের বুকে আগলে রাখে। তাকে দল মুল্যায়ণ না করলেও এ জেলার জনগণ ভোটের মাধ্যমে নুরুল হুদা মুকুটকে গতবার যেমন বিজয়ী করেছে এবারও বিজয়ী করবে। বার বার কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জননেতা নুরুল হুদা মুকুটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ভুল বুঝিয়ে অযোগ্য জনবিচ্ছিন্ন মানুষদের মনোনীত প্রার্থী করা হয়। আমরা শীত কালের অথিতি পাখিদের মত রাজনীতি করিনা । সারাজীবন শেখ হাসিনার রাজনীতি করেছি আওয়ামীগের রাজনীতি করছি ভবিষ্যতেও করব । এখন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যদি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের জন্য কাজ করলে জেলা কমিটির অগঠন তান্ত্রিক জনবিচ্চিন্ন সভাপতি সাধাারণ সম্পাদকের দ্বারা বহিস্কার হতে হয়, অব্যহতি হতে হয়, কিছু করার নেই তাদের যা ইচ্ছা তাই করুক নুরুল হুদা মুকুটের বিজয় হবেই আমরা তার পাশে আছি । আমরা নৌকা প্রতীকের সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করছি না ঘোড়া কোন দলীয় প্রতীক না? আমরা সারাজীবন আওয়ামীলীগ করেছি শেখ হাসিনার পাশে ছিলাম আছি ভবিষ্যতেও থাকব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *