সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
ছেষট্টি শতাংশ জমির উপর আম ও পেয়ারার সমন্বিত বাগান। আম পরিপক্ক হতে আর কয়েকদিন বাকী। গাছে দোল খাচ্ছিলো কচি পেয়ারা। এরই মাঝে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১শ’ টি ফলজ আমগাছ ও ১শ’টি পেয়ারা গাছ কেটে ফেলে কৃষকের তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে সাপাহার উপজেলার অদূরবর্তী পাড়াশাওলী গ্রামে। এবিষয়ে স্থানীয় থানায় ৭জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বিদিরপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে ভুক্তভোগী কৃষক মমিনুল আলম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন আগে পত্নীতলা উপজেলার বটতলী গ্রামের মৃত কাফিজউদ্দীনের ছেলে শামসুজ্জামানের সাথে জায়গা-জমি বিনিময় নিয়ে একটি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। যে দ্বন্দ্ব এখনো পর্যন্ত চলমান। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে বিবাদী শামসুজ্জামান ২১ তারিখ ভোরে তার স্ত্রী সহ দলবল নিয়ে মমিনুলের আম ও পেয়ারার সমন্বিত বাগানে অনধিকার প্রবেশ করে ফলন্ত আম ও পেয়ারাগাছ সহ মোট ২শ’টি গাছ কেটে ফেলে। গাছ কাটার পরে প্রায় ১১মণ আম নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা গাছ কাটা দেখে ভুক্তভোগী কৃষক মনিুলকে খবর দিলে সে বাগানে গিয়ে তার গাছ কাটা পড়ে থাকতে দেখে। যাতে করে তার প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। পরদিন মমিনুল স্থানীয় থানায় ৭জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, জায়গা জমির বিরোধে গাছ কেটে ফেলা একটা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্বর এসবের আইনি ব্যবস্থা না নিলে অনেককেই ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। এছাড়াও আম ও পেয়ারা গাছ কাটার তীব্র নিন্দা জানান স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শামসুজ্জামানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
প্রকাশক ও সম্পাদক সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত WhatsApp +44 7574 879654
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টাঃ খ ম সাইফুল হাবিব সজিব
বার্তা সম্পাদকঃ আল আমিন স্বাধীন, সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
কারিগরী সহায়তায়ঃ রাকিবুল হাসান রাফি প্রতিনিধিদের জন্যঃ WhatsApp +44 7574 879654
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) নগদঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩