শোক সংবাদ

 

হযরত শাহসূফি সৈয়দ আবদুল গফুর মাস্টারশাহ(রহঃ) প্রতিষ্টিত প্রতিষ্ঠিত গর্জনীয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রবিন শিক্ষক আল্লামা সোলায়মান মুকবুলী (৭৫) রাহঃ র ইন্তেকাল ইন্না-লিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন।

রাউজান হলদিয়া ইউনিয়নস্থ গর্জনিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় তিনি যখন চাকুরী নেন তখন এপ্রতিষ্টান এমপিওভুক্ত হয়নি। তখন হযরত আবদুল গফুর মাস্টার শাহ (রহঃ) ছবির মাওলানা সোলাইমান মুকবলী সাহেবকে বলেছিলেন আমি দুনিয়ায় নাথাকলেও এমাদ্রাসা ছেড়ে কোথায় যাবেনা।আল্লাহ এমাদ্রাসার উসিলায় আপনাকে বরকত দেবে।পরে কিন্তুু মাদ্রাসাও এমপিও হয়েছে,ওস্তাজি সোলায়মান মুকবুলী হুজুর সরকারী ভূক্তহয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর মাদ্রাসার খেদমত করেছেন। সুনামের সহিত বিগত কয়েকবছর আগে অবসরে যান।হুজুরের মুখে শুনতাম হযরত আবদুল গফুর মাস্টার শাহ প্রকাশ মাস্টার শাহ হুজুর আমাকে অনেক দোয়া করেছেন। উনার দোয়ার বরকতে আমি বাঁশখালী ছেড়ে রাউজান উপজেলার হলদিয়া এলাকায় বসবাস করতে পেরেছি।
শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরো আল্লামা সোলায়মান মুকবুলী হুজুর তিনি ছিলেন আওলাদে রাসুল (দঃ) হযরত হাফেজ কারী আল্লামা ছৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়বশাহ (রহঃ)মুরিদান।
হুজুর আমাকে বাল্য শিক্ষা থেকে শুরু করে ফাজিল পর্যন্ত পড়ায়েছেন তবে ছাত্র হিসাবে দেখেনি, তিনি আমাদেত নিজ সন্তান হিসাবে দেখে আদর – শাষন সবকিছু হুজুর করেছেন। তারঁ শিক্ষা জীবনের অন্যতম একটি অধ্যায় ছিল তাঁর আমলে কোন বেয়াদব ছাত্র সৃষ্টি হতে দেন নি। অনেকেই বলেন হুজুরের মেজাজ একটু ছড়া ছিল, কারণ তিনি কারো অভদ্রতা বা বেয়াদবি সহ্যকরতে পারতেন না ।তবে সে মেজাজ দেখালে ছাত্রদের সার্থে দেখিয়েছেন । বিশেষ করে তিনি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর কোরআন শরিফ ও মোজমোয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল (সাঃ) তেলাওয়াত করতেন। তিনি সত্যিকারের আশেকে রাসুল ছিলেন। হুজুরের ছাত্র মাওলানা ওসমান তালুকদার কয়েকবছর আগে হুজরকে ওমরাহ হজ্জের ব্যবস্থা করেছিলেন।তিনি হলদিয়া ইউনিয়ন গাউছিয়া কমিটির সভাপতি ছিলেন কয়েকবার।
আমাদের প্রানপ্রিয় হুজুর আজ আমাদের ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন।আল্লাহ হুজুরের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে হুজুরের দারাজাতকে বুলন্ধ করুক।আমিন।

বিঃদ্রঃ হুজুরের ছবিটি হযরত শাহসূফি হযরত এয়াছিন শাহ (রহঃ) মাজারে আমি হুজুরকে অনুরোধ করে বিগত ২০ দিন আগে তুলেছিলাম।
এম দিদারুল আলম (সাংবাদিক)
(১৯৮৬ -১৯৯৮) ইংরেজির) হুজুরের ছাত্র।
রাউজান চট্টগ্রাম।
তারিখঃ২৭-০৮-২২ শনিবার বাদে মাগরিব।

হুজুর ইন্তেকালের সময় ০৩ কন্যা ০২ ছেলে সহ অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী ও আত্বীয়স্বজন রেখে যান। হুজুরের বড় মেয়ের জামাতা মাওলানা আব্দুল মালেক জাদিদী যিনি দীর্ঘ ২২ বছর যাবত ফটিকছড়ি খিরাম কাদেরীয়া মূঈনীয়া দাখিল মাদরাসায় শিক্ষাকতা করে আসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *